অটোচালক এক নাছিমার গল্প অটোচালক এক নাছিমার গল্প – Narayanganjer Kagoj
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ভারতীয় পণ্য’সহ আটক ২ সতীর্থ ৯২ নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ মাদ্রসার রড চুরি করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চোর এইচএসসিতে সাংবাদিক কন্যার সাফল্য রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী বন্দরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন হিন্দু যুবক ফতুল্লায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার জামিনে মুক্তি পেলেন মনির হোসেন কাসেমী দিন দিন কোনঠাসা হচ্ছে বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৩ : আ’লীগের ১৬ প্রার্থী, নৌকার মাঝি কে হবেন? শেষ দিনেও নাশকতার বিরুদ্ধে মাঠে আজমেরী ওসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ববিন হাসেনের সন্ধান চায় পরিবার বক্তাবলীতে রহিম বাহিনী কর্তৃক সামেদ আলীর বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

অটোচালক এক নাছিমার গল্প

নারায়ণগঞ্জের কাগজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৭৫ বার পঠিত
অটোচালক এক নাছিমার গল্প

জীবন তো আর থেমে থাকে না। চালিয়ে নিতে হয় শত কষ্টের মাঝেও। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেন নাছিমা আক্তার (৪৫)। আর এ জন্য তাকে বেছে নিতে হয়েছে কঠিন কাজ। তিনি দিনে ব্যাটারি চালিত অটো চালক আর রাতে চায়ের দোকানী।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যস্ততম পয়েন্ট শিমরাইল মোড় এলাকায় ডেমরা সড়কে অটো রিকশা চাালিয়ে এবং রাতে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এই নারী। ট্রাক এক্সিডেন্টে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন দীর্ঘ ১৫ বছর আগে। বিধবা নাছিমার সংসারে তিন মেয়ে। অটো চালিয়ে বড় মেয়ে জোসনা (২০) এর বিয়ে দিয়েছেন। মেঝ মেয়ে ফারজানা (১৫) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া (১০)কে একটি মাদরাসায় রেখে পড়াচ্ছেন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ‘ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় নাছিমার। তিনি বলেন, সিলেটের কামারপাড়ায় আমার জন্ম। সেখান থেকে বাবা মার সাথে নারায়ণগঞ্জে চলে আসি। এক সময় আব্দুর বারেকের সাথে আমার বিবাহ হয়। আব্দুল বারেক ট্রাক ড্রাইভার ছিল। আমাদের সংসার সুখেরই ছিল। হঠাৎ করে একদিন আমার স্বামী রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। তখন আমার দুই মেয়ে এবং ছোট সন্তান পেটে ছিল। আমার পিতা-মাতাও নেই। কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো, কার কাছে হাত পাতবো। খাবো কি, বাড়ি ভাড়া দিব কিভাবে? কষ্টের দিন যাপন করার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডেমরা সড়কের গলাকাটা পুলের পাশে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেই। দীর্ঘদিন এই দোকানদারি করে সংসার চালাতাম। এখন মেয়েদের পড়াশোনার খরচ ঘর ভাড়া দিতে আমি খুব হিমশিম খাচ্ছিলাম। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একবেলা অটো চালাবো এবং এক বেলা চায়ের দোকানদারি করব। এখন মোটামুটি ভালো আছি, সংসার চলছে। অটো চালিয়ে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে রাত্র ২টা পর্যন্ত চায়ের দোকানদারি করি। বড় মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি সে ভালো আছে, সুখে আছে। আর ছোট দুই মেয়েকে ঢাকায় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাচ্ছি।

নাছিমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ গলাকাটা পুলস্থ এলাকায় নজরুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছি।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে এই প্রথম একজন নারীকে অটোচালক হিসেবে দেখে অবাক যাত্রীরা। তবে অনেকে এ নারীকে কাজ করার সাহস যোগাচ্ছেন। অনেকে কৌতূহল বশত যাত্রী হয়ে তার রিকশায় উঠে পড়েন। আর যাত্রীদের সম্মান করে নাছিমা পৌচ্ছে দিচ্ছেন গন্তব্য স্থানে।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..