অবশেষে বন্ধ হলো নারায়ণগঞ্জে জেকেজির নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্টের প্রতারণা। ঢাকায় গ্রেফতার হয় এ প্রতিষ্ঠানের কর্নধার। প্রতিদিনই করোনা সংগ্রহ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে।
জেলা সির্ভিল সার্জন অফিস থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল উত্তর। সংগঠনটির কোন মতামত না পাওয়ায় করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভাবে স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ সির্ভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বন্ধের নিদের্শ দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ও এম ডব্লিউ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নমুনা সংগ্রহের কাজ পরিচালনা করছেন। আপনাদের নমুনা সংগ্রাহের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মতামত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রকার সদোত্তর পাওয়া যায়নি। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের সন্দেহজনক করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভাবে স্থগিত করা হল।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চল মঙ্গলবার জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, অন্তত ৩৭ জনকে ভুয়া ফল দেওয়ার বিষয়টি তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ এবং করোনার নমুনা সংগ্রহের তিন হাজার কিট জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য শহরের কালীরবাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে এবং সিদ্ধিরগঞ্জে এমডব্লিউ স্কুলে দুইটি সেন্টারে ছয়টি বুথ চালু করা হয়েছিল।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...