নগরীর চাষাড়ায় মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তুলকালাম কান্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল। উক্ত ঘটনায় সাবেক সাংসদ প্রয়াত নাসিম ওসমানের একমাত্র পুত্র সন্তান আজমেরী ওসমানের নামটি ব্যবহারের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিমত অনেকের। মঙ্গলবার ১৫ মার্চ রাত ৯টায় শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠে মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নতুন ভবনে ওই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ বলেন, আমাদের এখানে পরীক্ষার ব্যাপারে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিলো। সেই বিষয়ে উভয়পক্ষের স্বজনরা আমাদের এখানে এসেছিলেন এবং একটি অভিযোগও করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেই এবং আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন ষ্টাফকে সাথে সাথে বহিস্কার করি। এবং এখানে ওনারা একটি গুজব ছড়ায় যে, কলেজ রোড থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কেউ একজন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ব্যাপারে ফোন দিয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের পাশেই থাকেন রুপু-সবুজ ভাই। তাদের কাছে জানতে পারি এমন কোন ঘটনা এখানে হয় নাই।
ওনারা আমাদের আশ্বস্ত করে গেছেন যে, প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কিছু নয় তাছাড়া প্রতিষ্ঠান কেনো বন্ধ হবে। কোন ব্যক্তি যদি এরূপ ঘটনা ঘটায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তখন তাদেরকে বলেছি যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে ওনার সর্ম্পৃক্ততা কিংবা ওনার ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসে নাই। রোগীর লোকজন আজমেরী ওসমান ভাইয়ের রেফারেন্স দিয়েছিলো তাদের রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে রুপু ভাই ও সবুজ ভাইয়েরা এখানে এসেছেন।
ওনারা বলেছেন যে, এমন কোন ব্যাপারে তিনি ফোন দেন নাই। তারপর থেকে আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম করে যাচ্ছি। আমরা সকালে পত্রিকায় নিউজ দেখেছি কিন্তু নিউজটার ব্যাপারে আমরা ঠিক জানিনা। যারা নিউজ করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায়নি। নিউজে ওনাদেরকে জড়িয়ে যেটা লেখা হয়েছে তা সত্য নয়। ওনাদের ব্যাপারে তেমন কিছু হয় নাই।
মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার আত্মীয় স্বজনেরা এসে ব্যাপক হৈ চৈ করে যাদের একটি বড় অংশ নিজেদেরকে সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের একমাত্র ছেলে আজমেরী ওসমানের ‘অনুগামী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, তারা সেখানে যাননি। হয়তো কেউ গিয়ে নাম বিক্রি করতে পারে। তবে মর্ডানের নমুনা সংগ্রহকারক নাজমুল হোসেন ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবী শিশুর বাবা ও মায়ের।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...