ফতুল্লা মডেল থানাধীন মাসদাইর এলাকার চাঞ্চল্যকর আল-আমিন @ দানিয়াল (২৭) হত্যা মামলার আসামী অনিক প্রধান (২৮) কে লালমনির হাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এরআগে র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট জেলার সদর থানার ড্রাইভার পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে হত্যাকান্ডের পরপর পুলিশ গ্রেফতারকৃত অনিকের নানা মামলার প্রধান আসামী রমু ওরফে সোর্স রমু গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বিক্রয়ে বাঁধা প্রদানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আল-আমিন @ দানিয়াল ও শুভকে শহরের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় মারধর করে জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে আল-আমিন @ দানিয়াল ও শুভ আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টস এর পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু) দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মারাত্মক আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় দানিয়াল ও শুভকে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরীয়) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করে ও শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।
এঘটনায় নিহত দানিয়াল এর মা মুক্তা বেগম পরদিন (১০ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত অনিক প্রধান ওই মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামি।
নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্যে নিহত দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ছিল আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।
র্যাব আরও জানায় গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, গ্রেফতারকৃতকে আজ বৃহস্পতিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...