ছিনতাই মামলার আসামী অমল এখন মাসদাইর পৌর শ্মশানের ডোম!
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
ছিনতাই মামলার আসামী অমল এখন মাসদাইর পৌর শ্মশানের ডোম!
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিদ্ধিরগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ডের আলোচনা সভায় শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে যোগদান ফতুল্লায় শীতার্তদের মাঝে চাদর ও কম্বল বিতরণ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো ‘ট্রাস্ট’ রনির শীতবস্ত্র উপহার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে যুবদল-ছাত্রদল দাম্পত্য কলহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন দ্বিতীয় স্ত্রী আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত ডিবির অভিযানে ৪৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আর নেই না’গঞ্জে থানা ও ফাঁড়ির ১০ ইন্সপেক্টরদের রদবদল আমলাপাড়ায় ব্যবসায়ীর ছেলের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধর তরুণরা আগামীতে আমাদের পথপ্রদর্শন করবে : প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় পথচারীসহ নিহত ৩ নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ফতুল্লায় কিশোরী ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

ছিনতাই মামলার আসামী অমল এখন মাসদাইর পৌর শ্মশানের ডোম!

নারায়ণগঞ্জের কাগজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
ছিনতাই মামলার আসামী অমল এখন মাসদাইর পৌর শ্মশানের ডোম!

বরিশালে দিনে দুপুরে চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ওষুধ ব্যাবসায়ীর ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইকালে জনি ডোম নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। সেই জনি ডোমের সাথে ছিনতাইকাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো আপনভাই অমল ডোম। যিনি এখনও পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন উক্ত ঘটনার পর থেকে। সেই অমল ডোম এখন নারায়ণগঞ্জ পৌর শ্মশানের ডোম হিসেবে চাকুরী নিয়েছেন প্রায় সপ্তাহ খানেক পুর্বে। একজন ছিনতাই মামলার আসামী কিভাবে সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পায় তা নিয়েই জল্পনা-কল্পনা চলছে পুরো শ্মশান এলাকায়। নবনিযুক্ত অমল ডোম বরিশাল কাউনিয়া এলাকার ডোম বাড়ির বাদল ডোমের ছেলে।

এদিকে মাসদাইর পৌর মহাশ্মশান থেকে কোন প্রকার কারন ছাড়াই টনি ডোমকে কিছু অর্থলোভী কর্মকর্তাদের কারণে চাকুরীচ্যুত করা হয়। প্রায় বছর খানেক পুর্বে শ্মশানের অভ্যন্তরে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রকে টেনে টনিকে সেখান থেকে পরিবারসহ বের করা হয়। সেই ঘটনার মহানায়ক ছিলেন শ্মশানের পুরোহিত শান্তি ঘোষালের ভাতিজা সবুজ।

কিন্তু শ্মশানের অভ্যন্তরে প্রতিদিন যে সকল অনিয়ম হচ্ছে তা সে সর্ম্পকে পুরোটাই অবগত রয়েছেন বর্তমানের শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস। লাশ দাহ করতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভিচুরী রান্না করতে প্রায় ৬০০০ টাকা (প্রতি ডেগ) এবং শ্মশানের ভেতের মাদক বিক্রি করাসহ যাবতীয় অনিয়ম সর্ম্পকেই অবগত রয়েছে এ কাউন্সিলর। পাশাপাশি রয়েছেন পুরোহিত শান্তি ঘোষাল।

শ্মশানের ভেতরে ঘটে যাওয়া সেই অপ্রীতিকর ঘটনাকে “উদোড় পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে” অর্থ্যাৎ সবুজকে বাচাতে গিয়ে তার পুরো দায়ভার চাপিয়ে”দেওয়া হয় টনির উপর। সেই ঘটনায় সিটি কর্পোরেশন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন যার প্রধান ছিলেন কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস। উক্ত ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত কমিটির প্রধান কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস অভিযুক্ত (শান্তি ঘোষাল ও অসিত বরনের মতে) টনি ডোমের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরী করে তা মেয়র বরাবর হস্তান্তর করেন। এদিকে শ্মশানের ভেতরে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েই প্রায় ২৫ দিন বরিশালে পালিয়ে ছিলেন শান্তি ঘোষালের ভাতিজা সবুজ।

কাউন্সিলরসহ অন্যান্য হিন্দু নেতাদের দাবী যে, টনির বিরুদ্ধে নাকি তাদের ব্যাপক বিষোদগার রয়েছে কিন্তু তা অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন।

তিনি জানান, আমাদের সংগঠন থেকে টনির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। কারন টনি করোনাকালীন সময়ে মাসদাইর পৌর শ্মশানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত সকলকে দাহ করেছেন। সেই সময়ে সাধারন মানুষ যখন ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছিলেন এবং পরিবারের কোন সদস্য’র মৃত্যুর পর তার মৃত দেহটি একনজর দেখতেও কাছে ছুটে যায়নি ঠিক সেই সময়ে টনি ডোমই কিন্তু নিজের জীবনকে বাজি রেখে সৎকার কাজ চালিয়ে গেছেন বিরতিহীনভাবে। এবং নারায়ণগঞ্জে করোনাকালীর সময়ে সকল টিমকে সার্বিক সহযোগিতাও করেছিলো এ টনি। তবে অনেকের ধারনা যে,টনি বর্তমান সময়ে অপরাজনীতির গ্যাড়াকলের শিকার।

অপরদিকে টনির স্থলে বর্তমানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রবিশালে ব্যাংক ছিনতাইয়ের অন্যতম আসামী অমল ডোমকে চাকুরী দেয়া হয় যা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

উল্লেখ যে,২০২১ সালের ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল নগরীর জেল খানা মোড় এলকার অগ্রণী ব্যাংক সদর রোড শাখায় এ ঘটনা ঘটনায় বাদল ডোমের ছেলে জনি ডোম ও অমল ডোমসহ তার এক সঙ্গী। সেদিন ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে হাওলাদার মেডিসিন এর মালিক আমিনুল ইসলাম পলাশ অগ্রনী ব্যাংক থেকে ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বের হচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি একটি হিসেব ভুল হয়েছে বলে তাকে ডাকে। ব্যাংকে উঠার মুহুর্তে তার চোখে মরিচ ছিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। গ্রাহকের সাথে আরো একজন থাকায় অমল ডোমের ভাই জনি ডোমকে আটক করতে সমর্থ হয়েছিলো। যার একটি ভিডিও প্রতিবেদন করা হয়েছিলো বরিশাল দর্পন টিভিতে। সেই ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকেই বরিশাল ত্যাগ করে নারায়ণগঞ্জে আত্মগোপনে চলে আসে অমল ডোম।

এ বিষয়ে এনসিসি ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাসের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়টা আমার জানা নেই। তাছাড়া ওকে নিয়োগের পুর্বে আমরা অনেক তথ্য যাচাই করেছি কিন্তু এরুপ কোন ঘটনা শুনিনি। তবে আপনাদের কাছে যদি কোন ডকুমেন্ট থাকে তাহলে সিটি কর্পোরেশনে পাঠিয়ে দিয়েন।

এ বিষয়ে পৌর মহাশ্মশানে নবনিযুক্ত অমল ডোম জানান, আমার ছোটে ভাই নেশাগ্রস্ত ছিলো তাই ও একাজটি করেছি। ওর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আপনিও উক্ত ঘটনার সময়ে সেখানে ছিলেন এবং ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা কথা। আমি অনেক আগ থেকেই নারায়ণগঞ্জে থাকি। কে বলেছে আপনার কাছে এ রকম মিথ্যা কথা। আপনি তার নামটি আমাকে বলুন।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..