চিত্রনায়ক শাকিব খানের বেশ বড় ভক্ত তিনি। শাকিব খানের মত কথা বলে বেশ ভাইরালও হয়েছেন। এরপর টিকটকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন মাদারীপুর জেলার সদর থানার নয়াকান্দী কাঠের পুল এলাকার মিন্টু বেপারী ছেলে সাকিব খান। তাকে সামাজিক মাধ্যমে জুনিয়র সাকিব খান নামেই ডাকেন ভক্তরা।
তবে জুনিয়র সাকিবের জীবনে ঘটে গেল মর্মান্তিক এক ঘটনা। ঘুমন্ত অবস্থায় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন স্ত্রী শিখা।
সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত।
প্রায় সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। কয়েক বার স্থানীয়রা তাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে কোনো এক সময় ঘরের ভেতর সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তার স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় কলাগাছিয়া কান্দিরপাড় এলাকায়। এ সময় শিখাকে আটক করে বন্দর থানায় নেওয়া হয়েছে। আটক শিখা খান (২৬) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মদনগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই রাজু আহম্মেদ বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আলোচিত টিকটকার সাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়।
গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। এখানে তার সার্জারি চলছে।
এসআই বলেন, সাকিব খানের আসল নাম সাকিল বেপারী। তিনি মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে। সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা দুজনই মাদকাসক্ত। আহত সাকিবের তথ্য মতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্য রাতের কোনো এক সময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনো এক সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা। তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযুক্ত শিখা খানকে আটক করে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...