দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, মাঠপর্যায়ের সংগঠকদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ এবং দলীয় কার্যক্রমে ধারাবাহিক সক্রিয়তার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মাশুকুল ইসলাম রাজীবকে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা রাজীব দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। একজন সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন নেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে তার উপস্থিতি ও নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় মাঠে সক্রিয় ভূমিকার কারণে নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন।
জেলা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, “আমাদের মাঝে এমন নেতৃত্ব থাকা গর্বের। মাশুকুল ইসলাম রাজীব সবসময় দলের প্রতিটি ইউনিটের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, যার ফলে সংগঠন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা যদি জাতীয় পর্যায়ে নিতে হয়, তাহলে রাজীব ভাইয়ের মতো নেতাকে আমরা সংসদে দেখতে চাই।”
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজীবের নেতৃত্বে দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলছে। নিয়মিত সভা, কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার সরাসরি অংশগ্রহণ নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় পর্যায়ের এক বিএনপি কর্মী বলেন, “কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা আরও জরুরি। রাজীব ভাই সেই দুটি কাজই দক্ষতার সঙ্গে করছেন। আমাদের এলাকায় তার মতো প্রতিনিধি দরকার, যিনি শুধু নামেই নয়, কাজেও মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠবেন।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও মাশুকুল ইসলাম রাজীবের সুসম্পর্ক রয়েছে, যা তাকে জেলা পর্যায়ের বাইরে জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক পরিপক্বতা দলীয় নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিতেও ইতিবাচক প্রতিচ্ছবি ফেলেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যারা মাঠে পরীক্ষিত এবং সাংগঠনিকভাবে প্রমাণিত, তাদের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। সেই বিচারে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রাজীবই সবচেয়ে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন।
এদিকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও রাজনীতিতে তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বগুণের প্রতি আস্থার ছাপ স্পষ্ট। তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা, জনসম্পৃক্ততা এবং স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় অংশগ্রহণ রাজীবকে ভবিষ্যতের জন্য একটি সম্ভাবনাময় মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজীবের মতো নেতাকে সামনে এনে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গোটা দলের মধ্যেই নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার ঘটানো সম্ভব।
সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রাজনীতির ময়দানে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা ঘনীভূত হচ্ছে, তার কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূলের এই প্রিয় নেতা – মাশুকুল ইসলাম রাজীব।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...