নারায়ণগঞ্জের কাগজ : আগামী ২২ বছর পর অর্থাৎ ২০৪০ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দাঁড়াবে ৭৯.৩৪ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেটিক্স অ্যান্ড ইভালয়েশনের গবেষণা জরিপে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাদের হিসাবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৬৩ বছর। অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হিসাব অনুযায়ী দেশের পুরুষের গড় আয়ু ৭০ বছর ৭ মাস ২০ দিন আর নারীর ৭৩ বছর ৬ মাস।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭১ বছর ৭ মাস। বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের অনুমিত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার। ২০১৭ সালের ১ জুলাইয়ে জনসংখ্যার প্রাক্কলন ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ। জনসংখ্যার মধ্যে পুুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশেই স্থির রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে একটি শুভ সংবাদ। স্বাধীনতা লাভের আগে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছরের কম। সে সময় দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশকেই অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হতো। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ বছর। এটি সম্ভব হয়েছে দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গাকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি গ্রহণ সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করা এবং চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের কারণে। স্বাস্থ্য পরিচর্যার কারণে দেশে শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। দেশের জনগোষ্ঠীতে প্রবীণ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। এ সমস্যার সমাধানে দম্পতি-পিছু এক সন্তান জম্ম এবং দুটির বেশি সন্তান নয় এ প্রত্যয়কে উৎসাহিত করতে হবে। বাল্যবিয়ের হার শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সরকারকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...