ধর্ষণের বিরুদ্ধে নয় দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে লংমার্চকারীরা ফেনীতে হামলার শিকার হয়েছে। শনিবার(১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় এই হামলা চালায় একদল যুবক।
লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় বলেন, হামলায় তাদের অনেকে আহত হয়েছেন। ফেনীতে সমাবেশ শেষে নোয়াখালী রওনা হতে বাসে ওঠার সময় লাঠিসোঁটা ইট নিয়ে এই হামলা হয়।
হামলায় ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে লংমার্চে থাকা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “সকাল ১০টার দিকে আমরা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।“তারপর আমরা যখন বেগমগঞ্জের উদ্দেশে বাসে উঠতে যাই, তখন একদল যুবক, যারা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের, তারা আমাদের উপরে অতর্কিতে হামলা করে। তাদের সঙ্গে পুলিশও যোগ দেয় হামলায়।”
আহতদের মধ্যে হৃদয়, আনিকা, ইমার নাম জানা গেছে। আহত দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তপন।
হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে স্থানীয়দের বরাতে অভিযোগ করেন জয়। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কারও বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
লংমার্চের প্রায় ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে কর্মসূচিতে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানিয়েছেন। পুলিশ এসময় নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, “হামলাকারীদের প্রতিহত করা চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে।”
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন এতে যোগ দিয়েছে। সূত্র : বিডি নিউজ
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...