ফতুল্লায় ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী শাহাদাত দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেলপাড়া পূর্বপাড়া, পেয়ারা বাগান, দেলপাড়া কলেজ রোড, টাওয়ার পাড় ও খোদাইবাড়ি মহল্লা এলাকায়।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা, দেলপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ডিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ স্থানীয় ডিবি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে বিতর্কিত সোর্স পরিচয়দানকারী শাহাদাত। ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করে আসলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ। জেলা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা বিতর্কিত পুলিশ সোর্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিলেও তা বাস্তবে প্রতিফলন করে দেখাচ্ছে না বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন। স্থানীয় ডিবি পুলিশের সুনাম নষ্ট করার পেছনে দায়ী শাহাদাতের মত বিতর্কিত সোর্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে একদিকে যেমন অপরাধ প্রবনতা হ্রাস পাবে। অপরদিকে ডিবি পুলিশের ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের কাছে উজ্জ্বল হবে বলেও সচেতন মহলের অভিমত।
তথ্যমতে, ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী শাহাদাত নিজেই মাদক বিক্রি করে। এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানী সহ শাহাদাত তাদেরকে দাম্ভিকের সাথে বলে, ‘ডিবির সবগুলা টিম আমার পকেটে, বেশি ভাব নিলে ডিবি দিয়ে ধরাই দিমু।’ যেকোনো মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে তারা হয়ে যায় সোর্স। আর এই সোর্স পরিচয়ে দিব্যি গড়ে তোলে মাদকের সাম্রাজ্য। বর্তমানে ডিবি পুলিশের সোর্স সিলমোহর লাগিয়ে শাহাদাত নিজে মাদক ব্যবসা সহ দেলপাড়ার বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী শাহাদাত সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদেরকে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। মাদকের সুরক্ষিত গোডাউন বলে পরিচিত ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকা। তাই এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশ সুপার ও ডিবি পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...