নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শনিবার রাতে সংঘটিত এই জোড়া খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) লিয়াকত আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস মিয়া (৭০) নামের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর, রাত সাড়ে এগারোটার দিকে, মেহেদী (৪২) নামের অপর এক ব্যক্তি ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদের প্রতিপক্ষ ধাওয়া করে। মেহেদীকে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বর্তমানে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব-১১, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোঃ শান্ত ও মোঃ রবিনকে র্যাব-১১ এর একটি টিম গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে, মোঃ কবির, মোঃ ফাহিম ও মোঃ সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) লিয়াকত আলী জানান, “আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নিহত হয়েছে। নিহতদের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...