রূপগঞ্জে রফিক ও মোশা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ১, আহত ১৩
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
রূপগঞ্জে রফিক ও মোশা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ১, আহত ১৩
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রূপায়ণ টাউন জামে মসজিদে সংঘর্ষ: তদন্ত ও বিচার চায় মুসল্লিরা আমাদের রাজনীতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য : রাজিব ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ ফতুল্লায় ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১ বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, আটক ৩ শ্যামলী বাসে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ১ জোরপূর্বক জমি দখল ও বালু ভরাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২ অবৈধ কয়েল কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি রূপগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল নেতা শামীম মিয়া বহিষ্কার রূপগঞ্জে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ১৯ দোকান পুড়ে ছাঁই সড়ক দুর্ঘটনায় ‘পাঠাও’ কর্মী নিহত সন্তানসহ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দম্পতি গ্রেফতার এবার বাকপ্রতিবন্ধীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রূপগঞ্জে বিএনপি’র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলি : নিহত ১

রূপগঞ্জে রফিক ও মোশা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ১, আহত ১৩

নারায়ণগঞ্জের কাগজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪
রূপগঞ্জে রফিক ও মোশা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ১, আহত ১৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আরো অন্তত ১৩ জন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।

নিহত মো. দ্বীন ইসলাম (২৩) নাওড়া এলাকার বিল্লাত হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন, নাওড়া এলাকার জাহিদ মিয়া, মো. সোহেল, শাহিন, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রাজীব,  হোসেন মিয়া, নাজমুল প্রধান, জেসমিন, ইভা, ওয়াসিম  ও সাখাওয়াত। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপগঞ্জে জমির ব্যবসা ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাই রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেনের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জেরে প্রায় সময়ই দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মোশাররফ হোসেন এলাকা ছাড়া হন। গত মঙ্গলবার মোশাররফ তার এক স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে এলাকায় আসেন৷ সে সময় প্রতিপক্ষের লোকজন মোশাররফের উপর হামলা করলে মোশাররফ এলাকা থেকে পালিয়ে যান৷ এর জেরে গত তিন দিন ধরে নাওড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই উত্তেজনা থেকে প্রথমে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং বিকেল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন হেলমেট মাথায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এরই মধ্যে উভয় পক্ষের একাধিক লোক গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দ্বীন ইসলাম নিহত হন।

মোশাররফের ফুফাতো ভাই ও নিহত দ্বীন ইসলামের চাচা নাজমুল নাজমুল জানান, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। তিন দিন ধরেই মোশাররফ হোসেন ও স্থানীয় প্রধান বাড়িতে হামলার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এনিয়ে এলাকায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তিন থেকে চারশো লোক অস্ত্রসস্ত্রনিয়ে মোশাররফ হোসেন ও নাজমুল প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। মোশাররফের লোকজন হামলায় বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় মিজানুর রহমান ও তাঁর সমর্থকরা শর্টগান ও পিস্তলের গুলি ছুড়ে। মিজানুরের ছোঁড়া গুলিতে দ্বীন ইসলাম আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

গুলির সময় পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দেয়নি অভিযোগ করে নাজমুল বলেন, ‘মিজান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান৷ হামলার সময় পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়নি। তারা নির্বিকার ছিল। পুলিশের সামনে মিজান নিজে আমার ভাতিজাকে (দ্বীন ইসলাম) গুলি করছে।’

তবে মিজানুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশাররফের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এতে মোশাররফের এক লোক নিহত হয়েছে। তিনি গ্রামে না থাকায় ঘটনার বিস্তারিত জানেন না।’

ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ ঘটনার সময় সেখানে নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। পরে খবর পেয়ে  রূপগঞ্জ থানা থেকে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্তত ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ি। পুলিশ নির্বিকার থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।’

ওসি বলেন, ‘ এলাকা এখন শান্ত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..