কুতুবপুর শহীদ নগরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং লিডার মোজাহিদ মোল্লা আবারও গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে মদনপুর থেকে ফেনসিডিলসহ আটক হয়। এরআগেও মাদক নিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল সন্ত্রাসী মোজাহিদ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুতুবপুরে যে ক’জন কিশোর গ্যাং লিডার রয়েছে, তাঁদের মধ্যে মোজাহিদ অন্যতম। এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদবাজী, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়াসহ নানা অপকর্মে জড়িত এই মোজাহিদ। আদর্শ নগরের রায়হান, মুন্সীবাগের জামাতি মিজানকে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেছে মোজাহিদ। প্রায় সময়ই এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোজাহিদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। চাঁদাবাজী,মাদক, অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মোজাহিদ চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে আপন ভাই সাইফুল সহযোগী হিসেবে সব সময় সঙ্গেই থাকেন। সাইফুল মোজাহিদের বডিগার্ড হিসেবে অস্ত্র বহন করে থাকে। প্রায় সময়ই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকার নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ মোজাহিদ, সাইফুল সহোদরের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোজাহিদ, মিজান এবং রায়হানের উত্থান ঘটে। এদের দিয়ে চেয়ারম্যান সেন্টু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করতে থাকেন। ফলে এরা দিনেদিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কাউকে তোয়াক্কা করে না, বর্তমানে কুতুবপুরের বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্ক এসব সন্ত্রাসী।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...