নারায়ণগঞ্জের বন্দর ধামগড় ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফর উদ্দিনকে অনৈতিকভাবে জিম্মি করে সিনেমা স্টাইলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ এনে সফর উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ইউপি সদস্য সফর আলী জানান একজন নারীকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে জোড়পূর্বক আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কথিত নামধারী কিছু সাংবাদিক একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেন সাংবাদিকদের। পরবর্তীতে আবারো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। তারপর কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মালিভিটা গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে ডামগড় ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সফর উদ্দিন।
বিবাদীরা হল একই উপজেলার কামতাল গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৪২, কাজীপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে নাছির (৪৮), মালিভিটা গ্রামের মৃত ইয়াকুবের ছেলে মনির (৩৫), ইস্পাহানী গ্রামের আনোয়ার (৪৮), নবীগঞ্জ গ্রামের বিল্লাল (৩২), চিড়াইপাড়া গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে শুভ (৩২) ও মদনপুর গ্রামের পানুর স্ত্রী সীমা আক্তার ওরফে মনি আক্তার (২০)।
তিনি আরো বলেন নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করার জন্য সকল বিবাদীগন কু পরিকল্পনা করিয়া একটি মিথ্যা নাটক সাজাইয়া ৭নং বিবাদী সীমা আক্তারকে ভাড়া করে এনে আমার নামে মিথ্যা অপ-প্রচার এবং মিথ্যা নারী ক্যালেংকারী অভিযোগ এনে ক্যামেরার সম্মুখে মিথ্যা কথা বলিয়ে ভিডিও ধারন করে। উক্ত ভিডিও দেখিয়ে আমাকে জিম্মি করে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, ভয়- ভীতি দেখিয়ে নগদ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেয় বিবাদীরা এবং একের পর এক মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাকে হয়রানী সহ সমাজের কাছে ছোট করার চেষ্টা করে। ৭নং বিবাদী সীমা আক্তার মনি আক্তার কে আমি চিনি না এবং কখনো দেখিও নাই। ১-৬নং বিবাদীরা কোথায় হইতে ভাড়া করে এনে ক্যামেরার সম্মুখে দাড় করিয়ে বাদীর উপর মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং ভিডিও ধারন করে বাদীকে জিম্মি করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ১-৬নং বিবাদীগন ১নং বিবাদী নুরুজ্জামান আমার নিকট হইতে নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। এবং রাজধানীর পল্টনে আমাকে আটক করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সমুদয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেয় কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু ধারার কোন সাংবাদিক নয়। সাংবাদিকতার পরিচয়ে মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে। আমি সমাজে একজন স্বনামধন্য মেম্বার। আমাকে তারা নারী দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা নিয়েছে। অথচ ওই নারীকে আমি কখনো চিনি না। আমি আইনের আশ্রয় পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেছি। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...