অনুমোদনহীন কথিত বাবা ব্র্যান্ডের লোগোযুক্ত পণ্য বাবা ফ্রুট, বাবা আইস ললি, বাবা আপ, বাবা আমব্রেলা চকলেটসহ নানা পণ্যের প্রথমে চটকদারি বিজ্ঞাপন প্রচার করে ‘আলীবাবা গ্রুপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এরপর ডিলার নিয়োগের নামে সারাদেশে প্রতারণার ফাঁদ পেতে প্রতিষ্ঠানটি নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে প্রতিষ্ঠানটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বারিধারায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-১১ এর একটি দল। গ্রেফতাররা হলেন- মেহেদী হাসান (২৮), তপন কুমার সরকার (৪৯) ও সাইফুল আলম (৪৫)।
এ সময় তাদের অফিস থেকে সরকারি অনুমোদনহীন বাবা ব্র্যান্ডের লোগোযুক্ত পণ্য বাবা ফ্রুট, বাবা আইস ললি, বাবা আপ, বাবা আমব্রেলা চকলেট, ডিলার নিয়োগের ফরম, ব্যাংক জমা রশিদ, পণ্য অর্ডার কাটা বই, পণ্য সাইজ ও মূল্য তালিকা, সয়াবিন তেলের লেবেল, ভিজিটিং কার্ড, বেতন শিট এবং পণ্যের ক্যাটালগ জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিএসসি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আলীবাবা ব্র্যান্ডকে নকল করে ‘আলীবাবা গ্রুপ’ নামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে। কথিত আলীবাবা ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারজাত করার জন্য উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ডিলার নিয়োগের প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
তিনি আরও জানান, ফেসবুকে তাদের প্রতারণামূলক চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রচারণা দেখে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আকর্ষিত হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় সুসজ্জিত অফিস ভাড়া নিয়ে ‘আলীবাবা গ্রুপ’ নামক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে এসে বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করা ‘বাবা ব্র্যান্ড’র বিভিন্ন ভূয়া পণ্য প্রদর্শন করে। এরপর ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। কয়েকজন ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ অনুসন্ধান করে সত্যতা পেয়ে গত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা কথিত আলীবাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ওরফে আকাশ চৌধুরী ওরফে আবীর চৌধুরী, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মীম এবং কোম্পানির এমডি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ডিলার নিয়োগের নামে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ও পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...