নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, করোনার চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জের তিনশ শয্যা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রুপান্তরিত করেছিলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেলো রোগীর চাইতে ডাক্তার-নার্স কয়েকগুন বেশি। মানুষ টেষ্ট করাতে আসেনা। অন্যদিকে মানুষ সাধারন চিকিৎসার জন্য ডাক্তার খুজে পায়না। চিকিৎসা পায়না। তাদের আমি চিকিৎসা দিতে পারছিনা। এ কারনে আমি তিন শয্যা হাসপাতালের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
তিনি বলেন, আমি জটিল রোগে আক্রান্ত। দেশের বাইরে আমার চিকিৎসা করাতে হয়। করোনার গত সাত মাস ধরে আমি দেশের বাইরে যেতে পারিনি। মধু, কালিজিরা ইত্যাদি কোরআনে উল্লেখিত ওষুধ দিয়েই আমি চিকিৎসা করে সুস্থ আছি।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের রামারবাগ এলাকায় নারায়ণগঞ্জের প্রথম এলপিজি ষ্টেশন ‘তাজ এলপিজি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে তাজ এলপিজি’র মালিক মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, এলপিজি বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস গাড়ির জন্য ভালো। আমি এটি পরীক্ষার জন্য গাড়ির ট্যাংকি ফুল করে ধানমন্ডি থেকে আরিচা হয়ে খুলনা গিয়েছি। খুলনা থেকে আবার আরিচায় এসে আমার এলপিজি শেষ হয়েছে। এ দূরত্ব অতিক্রম করতে আমার সিএনজি লাগতো ছয় হাজার আটশ টাকা। সেখানে এলপিজি লেগেছে তিন হাজার দুইশত টাকার। এছাড়া সিএনজি’র সিলিন্ডারের তুলনায় এলপিজি’র সিলিন্ডারটি হাল্কা। সিএনজি ষ্টেশনে গ্যাসের বদলে বাতাস ভরে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এলপিজি’র ক্ষেত্রে সে অসুবিধা নেই। বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে এটির সুবিধা হচ্ছে এটি আপনার বিক্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত আনতে লাইন টানার প্রয়োজন নেই। সিএনজি’র ক্ষেত্রে লাইন টানতে হয়। ফলে এই লাইন টানা বাবদ খরচটি লাগেনা। এলপিজি নির্ধারিত ট্রাকে করে এনে বিক্রয় ষ্টেশনে পৌছে দিয়ে যায়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...