ফতুল্লার পর এবার কুতুবপুরে রবিবার বিকেলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সহ কুশপুত্তলিকা দাহ, প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পদ বঞ্চিত, বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রামারবাগ ও স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের শিবু মার্কেট বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচী শেষ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনি ফতুল্লা থানা আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে নগদ-বিকাশ বানিজ্যের মাধ্যমে নিজ ক্ষমতা বলে ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেনি এমন অছাত্র, বিবাহিত, প্রয়াত সৈনিক লীগ নেতার পুত্র, মাদকাসক্ত এবং নিকটাত্মীয় স্বজনদের দিয়ে সুবিধাবাদীদেরকে স্থান দিয়ে আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেছে।
বক্তারা এই কমিটি প্রত্যাখান এবং এই কমিটি প্রতিরোধের ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়া জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ফতুল্লায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।
বক্তারা বলেন, আহবায়ক কমিটি গঠনে নানা অসঙ্গতির বিষয়ে কেন্দ্রিয় কমিটির নীতি-নির্ধারকদের নিকট তথ্য প্রমান সহ নালিশ করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যদি এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে আগামীতে তারা প্রেস ক্লাব ও কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে মানববন্ধন, ঝাড়ু-জুতা মিছিল সহ নানা কর্মসূচী পালন করা হবে। পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিতদের নিয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের পাল্টা কমিটি ঘোষনা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা আরিফ হাসান, নিরব আহম্মেদ পলাশ, নূরে আলম সাগর, পারভেজ আহম্মেদ, রবিউল ইসলাম, আবিদ হাসান, নিলয়, মেহেদী হাসান, হানিফ আহম্মেদ, তুষার আহম্মেদ, আল-আমিন, মহসিন, সুমন, তূর্য, মিলন, জাকির হোসেন, শান্ত, হৃদয় আহম্মেদ, রাসেল মাহমুদ ও আজিজুল ইসলাম সহ আরোও দেড়- দুই শতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, যে চলতি মাসের প্রথম দিনে মেহেদী হাসান দোলন আহবায়ক সদস্য সচিব রাকিব আহম্মেদ রিয়াদ সহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট ফতুল্লা থানা আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগ রিয়াদ আহম্মেদকে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ফতুল্লা থানার ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি মাদকাসক্ত এবং ডিভোর্সি বলেও জানা যায়।
অপরদিকে রেমন রাজিব নামে অপর একজনকে রনি ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ দিয়েছেন যে ব্যাক্তির এসএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট নাই।
সে সম্পর্কে জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির বেয়াই আর সে কারণেই তাকে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলে সদস্য করেছেন। এছাড়াও ফতুল্লা থানা ছাত্রদলে রনি ক্ষমতাবলে নিজের আপন ভাগিনা ও প্রয়াত সৈনিক লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানের ছেলে ইয়াসিন আরাফাতকে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক করেছেন।
জানা যায়, ইয়াসিন আরাফাত কখনোই ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত ছিলো না। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই রনি নিজের ভাগিনাকে পদায়ন করার জন্য ইয়াসিন আরাফাতকে দিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা ও কেক কাটার মত প্রোগ্রামে ফটোসেশন করিয়ে তার রাজনৈতিক প্রোফাইল তৈরী করেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গঠিত ফতুল্লা থানা ছাত্রদলে এসব ছাড়াও অসংখ্য অসংগতি আছে বলে ছাত্রদলের সর্বস্তরের কর্মীদের অভিযোগ।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...