নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগরে এক নারীকে মারধর করে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের। গত বুধবার(১৭ আগষ্ট) গোগনগরের সৈয়দপুরের আল আমিননগরের মানিক মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমনের স্ত্রী লাবনী বেগম(২২) বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আসামী করে এ অভিযোগটি সদর মডেল থানায় দায়ের।
অভিযুক্ত আসামীরা হলো- উজ্জ্বল, ইয়ার হোসেন, সুজন মিনি, সোবহান, ওমর, স্বপন, সর্ব সাং- সৈয়দপুর আল আমিন নগর, গোগনগর, নারায়ণগঞ্জ।
বাদির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপরিক্ত বিবাদীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন নিয়ে গত ১৭ আগষ্ট বিকেল অনুমান ৪টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ অবৈধভাবে অনাধিকার আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে ১নং বিবাদী আমার চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী চর থাপ্পর মারতে শুরু করে এবং অপর ২, ৩, ৪ ও ৫নং বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সংঘবদ্ধভাবে আমাকে এলোপাথারী লাথি ঘুশি মারতে শুরু করে। বিবাদীগণের আঘাতে আমার শরীরের নীলা ফুলা জখম হয়ে এবং আমি ফ্লোরে পড়ে গেলে ১ ও ২নং বিবাদী আমার পড়নে থাকা জামা কাপড় টেনে আমার শ্রীলতাহানীর চেষ্ঠা করে এবং ১ বিবাদী আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায় যাহার আনুমানিক মূল্য- ৬০ হাজার টাকা এবং ১ ও ২নং বিবাদীর নির্দেশে ৩, ৪, ৫ ও ৬নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের হাতে থাকা কাঠে লাঠি, বাশ, হকিষ্টিক ও লোহার পাইপ দিয়ে বারি মেয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমার ঘরের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং ৩নং বিবাদী ঘরের ড্রেসিন টেবিলের ড্রয়ারে থাকা আমার নগদ ৪৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার ডাক চিৎকারে আমার ভাবি সালমা বেগম (৩৬) এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ৪ ও ৫নং বিবাদী তাহাকেও এলোপাথারী মারধর করে ৫নং বিবাদী তাহার গলায় থাকা ০২ (দুই) ভরি ওজনের একটি মাছ লকেট সহ স্বর্ণের চেইন ছিনি নিয়ে যায়।পরে আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখলে বিবাদীগণ উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি করিলে ভবিষ্যতে আমাকে ও আমার স্বামীকে প্রাণে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানায়, আমার স্বামী অটোচালক। গত ১৫ আগষ্ট এলাকার এই বড় ভাইয়ের গায়ে অটো লেগে যায়। এঘটনায় এলাকার মাদবরা বসে বিচার শালিসের মাধ্যমে সমাধান করে কিন্তু এই ঘটনার জের ধরে গত ১৭ তারিখ হঠাৎ করে আমার বাসায় উক্ত আসামীরা প্রবেশ করে আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে আমার পড়নে কাপড় খুলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও আসবাপত্র ভাংচুর করে আমার গলায় থাকা ১২ আনা স্বর্ণের চেইন, ঘরে থাকা নগদ টাকা ও আমার ভাবী আমার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে তার গলায় থাকা ২ ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। যাবার সময় আসামীরা বলে গেছে ১ লাখ টাকা দিলে আমার স্বামীর ঘটনা শেষ হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...