রাকিব চৌধুরী শিশির : বিভিন্ন ধরনের কোরবানির পশু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটগুলোতে অপেক্ষা করছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতার দেখা মিলছে খুব কম। মাঝেমধ্যে দু-একজন আসছেন, দরদাম করে তারাও চলে যাচ্ছেন। স্বল্প পরিসরে কিছু পশু বিক্রিও হচ্ছে। তবে এতে খুশি নন বিক্রেতা ও ইজারাদাররা। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিক্রির হার যদি না বাড়ে তাহলে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই-তিন দিন ধরে কিছু কিছু পশু বিক্রিও হচ্ছে। তবে বিপুলসংখ্যক পশুর তুলনায় বিক্রির পরিমাণ খুবই কম। ঈদ সন্নিকটে থাকার পরও বিক্রি না বাড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিক্রেতা ও ইজারাদাররা। তবে ভিন্ন কথাও বলছেন পেশাদার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ।
তাদের মতে, অন্যান্য বছরের তুলনায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশুর হাটগুলোতে এবার অর্ধেক গরু উঠবে। আর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের আগ মুহূর্তে করোনাভীতি জয় করে কোরবানি দেবেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের হাটে পশুর দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। এ সময় পশু সংকটেরও আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা তাদের।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি হাট ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বল্প পরিসরে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য বছর এমন সময় যে হারে বিক্রি হতো, এবার সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। ফয়জুল নামের এক বেপারী বলেন, ক্রেতার সংখ্যা কম। দুদিন ধরে হাটে গরু উঠালেও আগ্রহী ক্রেতা পাননি। সামনে কী অবস্থা হয়, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন এ ক্রেতা।
অস্থায়ী পাগলা তালতলা হাটের ইজারাদার টেনু গাজী বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) পর্যন্ত হাটে ১৩/১৪’শ গরু উঠেছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৩টি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি আগামীকাল (বুধবার) থেকে বেচাকেনা শুরু হবে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতা, ইজারাদারের সদস্য এবং অনেক ক্রেতার মুখেও মাস্ক নেই। আবার অনেকে মাস্ক ব্যবহার করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে আসছেন। প্রচন্ড গরমের কারণে সারাদিন মুখে মাস্ক রাখতে পারছেন না পশু ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা। তবে পুলিশের টহল, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আনাগোনা থাকায় অনেকে ভয়েও মুখে মাস্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন।
অস্থায়ী আলীগঞ্জ হাটের ইজারাদার বক্কর মেম্বার বলেন, আজ পর্যন্ত ১৮/১৯’শ গরু উঠেছে। এ পর্যন্ত মাত্র ২০/২৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে মানুষ হাটমুখী হচ্ছে। আশা করি বিক্রি ভাল হবে।
স্থায়ী ফতুল্লার কোরবানির পশুর হাট ও অস্থায়ী পাগলা-আলীগঞ্জের হাটেও প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে। দিনভর অপেক্ষা করেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না কেউ কেউ। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অন্য হাটগুলোতেও বেচাকেনা শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সব জায়াতেই পশু বিক্রির চিত্র প্রায় অভিন্ন। বিক্রেতা ও ইজারাদারদের প্রত্যাশা ঈদের আগের দুইদিন কোরবানির পশু বিক্রির ধুম পড়ে যাবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...