ফতুল্লায় যুবলীগ ক্যাডার জনি, ডাকাত তজু ও মিন্টু বেপরোয়া। হত্যা, মাদক ব্যবসা, ব্ল্যাকমেইলিং, ধর্ষণ ও ছিনতাই এমন কোন কাজ নেই যে তারা করছে না। এতকিছুর পরও তারা এখনও বীরদর্পে উক্ত এলাকায় চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে সাহস পায়না স্থানীয়রা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পিলকুনি ও দাপা ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসীন্দারা।
তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে এলাকার লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করা হয়। এমনকি সাংবাদিকরা তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে অনেকে তাদের নিয়ে সংবাদও প্রকাশ করছে না। তাদের অপকর্ম প্রকাশ না পাওয়ায় এই সুযোগে তারা আরো বেপোয়ারা হয়ে ওঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৯ মার্চ দাপা ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাবেক সংসদ কবীরর ক্যাডাররা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেলকে কুপিয়ে হত্যা করে। সোহেল হত্যা মামলায় যুবলীগ ক্যাডার জনি ও ডাকাত তজু হত্যার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। তবে এলাকায় একক নিয়ন্ত্রনে করে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা ও বেশ কিছুদিন আগে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিল জনি। তবে মাদক ব্যবসা প্রকাশ হওয়ায় ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া করে মিন্টুকে দিয়ে নারী ব্যবসা শুরু করে। তাদের ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ী খদ্দর আসলে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায় করত।
তাদের ব্ল্যাকমেইলিং সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় স্থানীয় দুই সাংবাদিককে অজ্ঞাত নারী দিয়ে আদালতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে চায় না। তাছাড়া পিলকুনি এলকায় শাওনদের বাড়ির কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হন জনি। প্রায় ১ বছর জেল খাটার পর আবার নেমে পরে মাদক ব্যবসায়। মিন্টুকে দিয়ে দাপা আদর্শ স্কুলের পাশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাদক বেচাকেনা করায়।
ফতুল্লা মডেল থানায় জামাত শিবিরের নাশকতার ২টি মামলা রয়েছে মিন্টুর বিরুদ্ধে। তাদের অপরাধকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ যেন প্রকাশ না করা হয় সেজন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের মামলা করার হুমকিও প্রদান করেন এ গুনধর ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুজ্জামানের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...