আমরা গরীব মানুষ। মামলা চালানোর মতো আমাদের ক্ষমতা নেই। আমার ছেলেরা অনেক কষ্ট করে কাজ করে সংসার চালায়। আমি হিমেল ও তার চাচাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি তাদের বিরুদ্ধে কোন বিচার চাই না। আমার পরিবার নিয়ে আমরা একটু শান্তিতে থাকতে চাই।
রবিবার (৪ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার রেজা হিমেল ও তার চাচা সহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মানববন্ধনে উক্ত কথা বলেন হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্য শফি প্রধান।
শফি প্রধান বলেন,আমি সস্তাপুরের একটি রিকশার গ্যারেজের মহাজন। আমার গ্যারেজের একজন রিকশা চালক রিকশা গ্যারেজের সামনে রেখে গ্যারেজের ভিতরে আসলে ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের চাচার যেতে সমস্যা হলে তারা আমার তিন ছেলের সামনে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। আমার ছেলেরা আমাকে রক্ষা করতে আসলে তারা আমার ছেলেদের গলায় ছুড়ি ধরে রাখে। এসময় আমার প্রতিবেশী সজল সহ কয়েকজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে ওরা তাদেরকেও মারধর করে এবং সজলের একটি আঙুল কোপে বিচ্চিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও আরো একজনে কুপিয়ে তারা চলে যায়। আমার ছেলে বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হিমেলের চাচা জুয়েল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হিমেল, তারা চাচা মজিবুর,জুয়েল নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং তাদের কিছু লোকজন আমাদের গ্যারেজে পাঠায়। তারা এসে আবারো মারধরের হুমকি সহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের এলাকায় ছাড়া করবে বলে জানিয়ে যায়। বিষয়টি ফতুল্লা থানার ওসিকে জানালে হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে তার এক কর্মচারীকে দিয়ে মারধর করার একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন,আমার ছেলে মামলা প্রত্যাহার না করায় তারা এলাকায় বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে প্রস্তাব দেয়। আমি তাদের বলেছি মিমাংসার প্রয়োজন নেই তারা দুঃখ প্রকাশ করলেই আমরা মামলাটি উঠিয়ে ফেলবো কিন্তু তারা দুঃখ প্রকাশ না করে বরং উল্টো আমার ছেলের বিরুদ্ধে এক মেয়েকে দিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করায়। আমরা হতদরিদ্র মানুষ মামলা চালানোর মত আমাদের ক্ষমতা নেই। তারা এলাকায় অনেক মানুষের ঘর বাড়ি জোরজবরদস্তি করে দখল করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। অনেক পরিবারকে অসহায় করেছে। তাদের সাথে কি আমরা পারবো।
মানববন্ধনে শফি প্রধান সহ তার ভোক্তভোগী ছেলে বাদল, স্ত্রী ও দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...