ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি ডাইং ফ্যাক্টরীতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার ২৮ মে দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লার কুতুবআইল ওই ডাইং ফ্যাক্টরীতে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর করেন সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ডাইং ফ্যাক্টরীর মালিক বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে মোঃ মহসিন জানান, ফতুল্লার কুতুবআইলে আমার একটি ড্রাইং ফ্যাক্টরী আছে। যা নিউ ওরিয়েন্ট ড্রাইং নামে পরিচিত। মৃত মনু মিয়ার ছেলে সাদিক তার লোকজন নিয়ে আমার ফ্যাক্টরী জোর পূর্বক দখল করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। এমন কি আমাকে মারার জন্য বেশ কয়েকবার জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসতেছিল। সাদিকের বাড়ির লোকজন আমার ড্রাইংয়ের পার্শ্ববর্তী জমির উপর দিয়া প্রতিনিয়ত চলাফেরা করে। মানবিক কারণে কোন ধরনের প্রতিবাদ করি নাই। গত ২৮ মে দুপুর আড়াইটার সময় আমি ফ্যাক্টরীতে অবস্থানকালে সাদিকের সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা হাতে রামদা, ছোরা, লোহার রড, হকিষ্টিক সহ দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ফ্যাক্টরীর মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং অযৌক্তিক দাবী দাওয়া উপস্থাপন করে। তখন আমার ফ্যাক্টরী ইটিপি অপারেটর আহাদুল (৩২) ও দারোয়ান জুয়েল দাস (৩৩) প্রতিবাদ করিলে শিবলী ও সাদিক সহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্য তাদেরকে রামদার উল্টা পিট দিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। আমি অফিস রুম থেকে বাহির হয়ে তাদেরকে রক্ষা করতে আসলে উক্ত বিবাদীরা আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করতঃ গায়ের শার্ট ছিড়ে ফেলে। শিবলী আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ১ লক্ষ টাকা নিয়া নেয়। সাদিক অপারেটর আহাদুল এর প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ২৫০০ টাকা নিয়া নেয়। ঐ সময় আমার ফ্যাক্টরীর অন্যান্য শ্রমিক এগিয়ে আসিলে শিবলী ও সাদিক সহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের কেও মারধর করে নীলাফুলা জখম করতঃ ফ্যাক্টরীর মেশিনপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ২/৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ফ্যাক্টরীর সিসি ক্যামেরা সহ আমার এক্সজিও প্রাইভেট কার ভাংচুর করে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে অপারেটর অপারেটর আহাদুলকে চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জে নিয়া চিকিৎসা করাই।
এ ঘটনায় আমার ফ্যাক্টরীতে হামলাকারী শিবলী ও সাদিক সহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...