সোর্স পরিচয়দানকারী সিএনজি লিটন ও ভুইট্টা ইসমাইল আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফতুল্লার মাহমুদপুর, ভুইগড় ও দেলপাড়া এলাকায়।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, সরকারদলীয় প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ার পাশাপাশি পুলিশের কথিত সোর্স সিএনজি লিটন ও ভুইট্টা ইসমাইল নিয়ন্ত্রণ করছে ফতুল্লার মাহমুদপুর, ভুইগড় ও দেলপাড়া এলাকার সিংহভাগ মাদক বাজার। আর মাদক বাজারে প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সোর্স ভুইট্টা ইসমাইল। তাদের রয়েছে প্রায় এক ডজনেরও বেশী সেলসম্যান বা খুচরা বিক্রেতা। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন ভাবে রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক খুচরা মাদক বিক্রেতা। প্রতিটি মাদক স্পট থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদেরকে সর্ব প্রকার সহযোগিতা করে আসছে সোর্স পরিচয়দানকারী সিএনজি লিটন ও ভুইট্টা ইসমাইল। সোর্স সিএনজি লিটনের মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেওয়া ছাড়াও রয়েছে ৪/৫টি সিএনজি। তার এই সিএনজি দিয়েও সাইনবোর্ড এলাকায় ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
তথ্য মতে, সোর্স পরিচয়দানকারী সিএনজি লিটনকে গ্রেপ্তার করেছিল ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালীন কর্মরত এএসআই কালাম মিয়া। জেল থেকে বেরিয়ে হয়ে যায় পুলিশের সোর্স। যেকোনো মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে তারা হয়ে যায় সোর্স। আর এই সোর্স পরিচয়ে দিব্যি গড়ে তোলে মাদকের সাম্রাজ্য। বর্তমানে পুলিশের সোর্স সিলমোহর লাগিয়ে সিএনজি লিটন ও ভুইট্টা ইসমাইল মাদক ব্যবসা করতে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকার দলীয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদেরকে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। মাদকের সুরক্ষিত গোডাউন বলে পরিচিত ফতুল্লার মাহমুদপুর, ভুইগড় ও দেলপাড়া এলাকা। তাই এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...