নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর রক্তমাখা গৃহবধূ রাহিমার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকার একটি সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত রাহিমা বন্দরের মদনপুর বড় সাহেব বাড়ির কৈতারবাগ এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী। তবে তিনি তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আলাদা বসবাস করতেন। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ কাঁচপুরের মালেক জুট মিলে চাকুরি করতে বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
নিহত রাহিমার ভাগ্নে আবদুর রহমান জানান, তার খালার স্বামী রুহুল আমিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। খালা প্রতিবাদ করার কারণে তার খালাকে খালু প্রায় সময় নির্যাতন করতো। জীবন জীবীকার তাগিদে তার খালা কাঁচপুর এলাকার মালেক ঝুট মিলে চাকুরি নিয়ে স্বামী থেকে আলাদা বসবাস করতেন। শুক্রবার দুপুরে তার খালা রাহিমা কর্মস্থল থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার তার খালা রাহিমার রক্তমাখা লাশ বন্দরের মদনপুর এলাকার একটি সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এব্যাপারে বন্দরের ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজিজুল হক জানান, শনিবার সকালে রাহিমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই হাটু, পিঠ ও কোমরে আঘাতের চিহ্ন আছে এবং নাক থেঁতলানো ছিল। লাশের কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...