রাকিব চৌধুরী শিশির : বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার তাণ্ডব। দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল। মানুষের অসহায়ত্ব। আতঙ্ক। ভয়। কারওই যেন কিছু করার নেই। প্রেম ভালোবাসা ছিটকে পড়েছে বহুদূরে। মানবিকতা হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে। এমনই এক সময় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কর্মহীন শ্রমিকদের আশার আলো দেখিয়েছেন একজন মানুষ। মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ।
করোনা ভয় দূরে ঠেলে এগিয়ে এসেছেন মানবিক হয়ে। মানবতার সেবক হয়ে হাজির হচ্ছেন মানুষের সামনে। করোনা মহামারীর মধ্যে নিজের জীবনের ঝুঁকি জেনেও কাজ করছেন মানুষের কল্যাণে। দিন-রাত নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন মানব সেবায়। ক্ষুধার্ত নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কর্মহীন শ্রমিকদের মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহসিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের স্বার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে সুখী করা নয় বরং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অন্যকে সুখী করা। কথায় আছে পৃথিবীতে দান করে কিংবা মানবসেবা করে কেউ কখনো গরীব হয়নি, বরং গরীব মানসিকতার মানুষরাই কখনো কারো জন্য কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীতে সেই মানুষগুলোই সবচেয়ে সুখের কাছাকাছি যেতে পেরেছে, যারা নিজেদেরকে আর্তমানবতার সেবায় বিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। নিজের জন্য নয় সমাজ ও মানুষের সেবা করার মাঝেই সবচেয়ে বড় আনন্দ। মানুষের দুঃখের দিনে তার পাশে থাকার নামই মানবতা। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এক প্রাণ ও মানবতার নাম শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ।
জানা যায়, শ্রমিক নেতা পলাশ, আজ শুধু তার নিজ গ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে জেলা, জেলা থেকে সমগ্র দেশের মানুষের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া সমগ্র দেশের, অসহায় মানুষ যখন জীবন জীবিকার তাগিদে শহরে ছুটে আসে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগার করতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তখন সে সকল অধিকার বঞ্চিত নিরন্ন অসহায় মানুষগুলোর কাছে পলাশ হয়ে ওঠেন নির্ভরতার প্রতীক ও নিরাপদ ঠিকানা। যার ছায়ায় এবং মায়ায় নিরন্ন অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন আর বাসস্থানের নিশ্চয়তা পায়। কোথায় নেই পলাশ? মায়ানমার থেকে বিতারিত নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ক্রীড়াঙ্গন সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে সেবা ও তার ছান্দসিক পদচারণা। করোনায় অসহায় মানুষদের খাদ্য সহয়তা দিয়ে পাশে থাকছেন। তার এ পথ চলা মানবতার কল্যাণের জন্য।
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বর্তমানে বাংলাদেশের এই জাতীয় সংকটে এগিয়ে এসেছেন মানবতার দূত হিসেবে, বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন গরীব ও অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকেও করছেন আর্থিকভাবে সাহায্য। এছাড়াও অসহায়-দুস্থ, বেকার হওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি। তার কাছে গিয়ে কোন মানুষ খালি হাতে ফিরছেন না। অসহায় মানুষের কাছে মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ বলেন, এক মহাক্রান্তিকাল পার করছি। আমাদের চিরচেনা পৃথিবীর সমস্ত দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বিভিন্ন দেশে চলছে মৃত্যুর মিছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনার আতঙ্কে চলাচল কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। বিপাকে পড়েছে দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের উপার্জন। আর এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহকে রাজীখুশি করার জন্যেই আমি আমার পক্ষ থেকে এসব মানুষের জন্য সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আল্লাহর ইশারা ছাড়া কেউ কিন্তু কিছুই করতে পারেনা। চোখের সামনে যখন এসব মানুষের মুখগুলো ভেসে ওঠে। তখন আমাকে ভীষণভাবে তাড়িত করে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের জন্য করে যাচ্ছি এবং করে যেতে চাই। বিত্তবানদের প্রতি আহবান আপনারা অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...