ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইয়াদ আলী মসজিদ হতে ছোটবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। আর সেই রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের নামে বাড়ি বাড়ি থেকে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হান্নানুর রফিক রঞ্জু ওরফে রঞ্জু মেম্বার একাধিকবার অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
পরিচয় গোপন রেখে মুঠোফোনে মোঃ জাহাঙ্গীর নামের এক বাড়িওয়ালার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমারটা দিছি ৫ হাজার আর আমার বিয়াইয়ের ৫ হাজার টাকা দিছি। প্রত্যেক বাড়ি থেকে ৫ হাজার করে নিছে। ভিতরে আমার বিয়াইয়ের বাড়ি কোন কাজ করে নাই, শুধু বাউন্ডারি দিয়ে রাখছে। আমার বিয়াই বলছে দিবেনা। আমার সামনে দিয়া বালু ফালাইবো, কইছি আমার পকেট থেকে আমি দিয়া দিছি। বালুটা আমার সামনে দিয়া ফালাইলো না, ফালাইলো গিয়া সরকার ফ্যাশনের সমানে। জামাই মানুষ, আমি হের লগে তর্ক করতে বা ঝগড়া করতে যাই নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, রঞ্জু মেম্বার এর আগেও কয়েকদফা রাস্তা ও ড্রেনটি সংস্কারের জন্য এলাকার বাড়ি বাড়ি থেকে ৫/১০ হাজার টাকা করে অর্থ আদায় করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে এবং বেশিরভাগই এ যন্ত্রণা ভোগ করেন মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা। এবারও রঞ্জু মেম্বার এলাকার বাড়ি বাড়ি থেকে অর্থ আদায় করেছেন। কিন্তু এখনও রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
আব্দুর রউফের বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টাকা দেই নাই। এর আগে একবার টাকা নিছিলো। এইবার এখনো পুরো টাকা উঠায় নাই। আমার কাছে টাকা চাইছিলো, আমি টাকা দেই নাই। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয় হয় এই সাইডের সবার কাছ থেকে টাকা নিছে। আমি টাকা দেই নাই, আমি কইছি আগে কাজ ধরেন তারপরে টাকা দিমু। আমরাতো কয়েক দাগে দাগে টাকা দিছি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ হান্নানুর রফিক রঞ্জু বলেন, আমি এ পর্যন্ত কারো কাছে টাকার জন্য যাই নাই। আমি এলাকাবাসীও বুঝি না, আমি সমস্যার জন্য ওখানে এখনো যাইনি। আমি কারো কাছে যাইনি, এখন পর্যন্ত বলিও নাই যে সংস্কার করতে হবে। আমি আমার চেয়ারম্যান মহোদয়কে বলছি যে, আমার ইয়াদ আলী থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত কাজ করতে হইবো। কেমনে করা যায় এটা ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কোন বাড়িওয়ালা বা কোন লোক বলতে পারবে না ইয়াদ আলী থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত কাজের জন্য তাদের কাছে টাকার জন্য গেছি। আমিতো কোনদিনই কারো কাছে যাইনি। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচাবাজার থেকে সরকারি জায়গা পর্যন্ত এলাকাবাসীর উদ্যোগে ড্রেনটা করা হইছে। সবাই মিটিং করে উদ্যোগী হয়ে এ কাজটুকু টাকা দিয়ে করাইছে। যা করাইছে আমা পকেট থেকে আরও ডাবল খরচ করছি। রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন বরাদ্দ আসেনি। প্রজেক্ট দিলে আমরা পাকা করে দিবো।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল আলম সেন্টুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...