জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশের অত্যন্ত আস্থাভাজন ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি পিয়াস আহাম্মেদ সোহেলকে ফোন করে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ ও অতিদ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফতুল্লা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ।
সোমবার ৮ আগষ্ট সকাল সকালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা বাজার এলাকায় ফতুল্লা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তারের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা থানা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন রাজুর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম রাহাত, জাতীয় শ্রমিকলীগ ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা থানার সহ-সভাপতি মোঃ অহিদুর রহমান, মোঃ পারভেজ প্রধান, প্রচার সম্পাদক মোঃ লিটন শিকদার, সহ অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, কার্যকরী সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ রিপন আকন কামাল উদ্দিন দুলু,শিশির খান,,ফতুল্লা থানা মজদুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ফতুল্লা থানা হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মাষ্টার, আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন পাগলা শাখার সহসম্পাদক মোঃ ফিরোজ মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান উবায়েদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ, সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া,আলীগঞ্জ পলাশ নগর যুব সংঘ এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহসভাপতি মোঃ হাবিব খন্দকার সহ শ্রমিক নেতা পলাশের হাতে গড়া বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, রোববার (৭ আগস্ট) সকালে পিয়াস আহম্মেদ সোহেলের মোবাইলে ফোনে ফোন করে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতি এ হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় পিয়াস আহম্মেদ সোহেল দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (নং -৪৩৮) করেন। পিয়াস আহম্মেদ সোহেল জানায়, সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার ব্যবহৃত ০১৭১১৩৩০০৯৬ মোবাইল ফোনে ০৯৬৩৮০৪৪৩৭১ নাম্বার থেকে ফোন করে তাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দসহ হত্যা করার হুমকি দিয়ে ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে লাইনটি কেটে দেয়। এ সময় হুমকি দাতার পরিচয় জানতে চাইলে তাকে বলা হয় এলাকায় থাক আসতেছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
তিনি আরো জানান, ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট রাত দশটার দিকে আলীগঞ্জ সমিল সড়কে তার নিজ বাড়ীর গলিতে তাকে গুলি করে হত্যার চেস্টা করে সন্ত্রাসীরা। সে যাত্রায় সে বেচে গেলেও পঙ্গুত্বের জীবন বজন করতে হচ্ছে তাকে। সে সময় ও সন্ত্রাসীরা তাকে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে তাকে ফোন করে আক্রমনাতককথা বলতো। তাকে গুলি করার ২০-২৫ মিনট র্পূ্বে ও মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি স্বরুপ কথা বার্তা বলে। সে সময় সে এ রকম ফোনের বিষয়গুলোতে আমলে না নেয়নি। কিন্ত রোববারের ফোনে হুমকির পর থেকে তিনি অনেকটাই আতংকিত। তাই তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।
সাধারন ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল খান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...