নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ডিক্রিরচর ঘাট এলাকা বিএনপির সন্ত্রাসীদের দখলে। করছে মাদক ব্যবসা, অবৈধ ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর বড় মসজিদ এলাকার বিএনপির সন্ত্রাসী আশক আলীর পুত্র রতন, আদমবাড়ির আবুকারির পুত্র মাজহারুল, আনোর আলীর পুত্র আমান, সোহেল, নাঈম, রতন শিকদারসহ আরো ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী ডিক্রিরচর ঘাট দখল করে রেখেছে। তাদের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি রাহাজানি ও অবৈধ ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসকল বিএনপির সন্ত্রাসীরা ডিক্রিরচর ঘাটে শুধু মাত্র অবৈধ ইজিবাইক ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চালাতে দেয়না। ডিক্রিরচর ঘাট এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, পেডেল চালিত রিক্সাতে কোন যাত্রী উঠতে দেয়না। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা রিক্সায় কোন যাত্রী নিলে তাকে মারধরসহ গাড়ি ভাংচুর করে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আলীরটেক বক্তাবলী এলাকার হাজার হাজার জনসাধারন এসকল সন্ত্রসীদের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। কোন রুগিকে দ্রুত হাসপাতাল বা দ্রুত অফিস আদালতে যেতে বিকল্প পরিবহনে যেতে চাইলে সেসকল রুগি বা জনসাধারনকে অপমান অপদস্ত করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ যেন স্বাধীন রাষ্ট্রে এক পরাধীন এলাকা! নাম না প্রকাশ করার শর্তে ডিক্রিরচর এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান বিএনপির সন্ত্রাসী আশক আলীর পুত্র রতনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তারা এতই ক্ষমতাধরযে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও অবৈধ ইজিবাইক চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সোমবার (২২ জুন) সকালে ডিক্রিরচর ঘাট এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যাত্রী ওঠালে ঐসকল সন্ত্রাসীরা চালক বাবুলকে অপমান অপদস্ত করে যাত্রীদের নামিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক বাবুল বলেন, মহামারি করোনার কারনে শহরে কোন টিপ না পেয়ে ডিক্রিরচর ঘাট এলাকায় এসেছি। একটি টিপ ধরা মাত্র বিএনপির সন্ত্রাসী রতন ও তার দলবল এসে আমাকে অপমান অপদস্ত করে যাত্রী নামিয়ে নেয় এবং এখানে ভবিষ্যতে এলে মারধরসহ হত্যার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল এ)’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, থানায় অভিযোগ দিলে অবৈধ ইজিবাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...