সস্তাপুরে সম্পত্তি আত্মসাত করতে জুলহাসের মিথ্যাচারিতা
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
সস্তাপুরে সম্পত্তি আত্মসাত করতে জুলহাসের মিথ্যাচারিতা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নারায়ণগঞ্জে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট, বাড়বে অস্বস্তি মেয়র আইভীকে উৎখাতের হুমকি হেফাজত নেতার ফতুল্লায় গাঁজা-রামদাসহ দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী বাংলাদেশে এলো অনারের মিডরেঞ্জ ফ্ল্যাগশিপ এক্স৯বি অটোরিকশার ধাক্কায় ৩ বছরের শিশু নিহত সাংবাদিক শাওনের বাবার মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক গাছের ডালে ঝুলছিলো নারীর লাশ আদালতে জাকির খানের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বন্দরে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১১ জনের প্রার্থীতা বৈধ সর্বজনীন পেনশন সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন ডিসি সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে করোনা যোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন ফতুল্লায় ভবন থেকে পড়ে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু এসিল্যান্ডের গাড়ির চালক রনির যত ক্ষমতা! পরিবারের সাথে সময় কাটাতে নিউজিল্যান্ডে মেয়র আইভী আড়াইহাজারে চায়না ব্যাটারি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

সস্তাপুরে সম্পত্তি আত্মসাত করতে জুলহাসের মিথ্যাচারিতা

ফতুল্লা সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৭২ বার পঠিত
সস্তাপুরে সম্পত্তি আত্মসাত করতে জুলহাসের মিথ্যাচারিতা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন সস্তাপুর এলাকায় বোনের বিক্রিত সম্পত্তি পূনরায় দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভাই। একই সাথে আইনী লড়াইয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরও মিথ্যা অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে এই ব্যক্তি। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম জুলহাস মিয়া। সে ফতুল্লার সস্তাপুর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে।

জানা গেছে, ফতুল্লা মৌজার সস্তাপুর এলাকার ৯ শতাংশ সম্পত্তির মূল মালিক ছিলেন ফুলবানু। আর অভিযুক্ত জুলহাস মিয়া ফুলবানুর ভাই। ফুলবানু ওই সম্পত্তিটি বহুবছর আগেই বিক্রি করেদেন জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা দম্পতির কাছে। অভিযোগ রয়েছে, জমি বিক্রি করলেও বোনের কাছ থেকে বিক্রিত জমির অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল জুলহাস মিয়া।

এদিকে, ফুল বানুর কাছ থেকে ওই ৯ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক থাকাবস্থায় জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা গং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রি বায়না করেদেন আনোয়ার ও আবু সাঈদ গংয়ের কাছে। কিন্তু এরপর ওই সম্পত্তি নিজের বলে মিথ্যে দাবী করছে জুলহাস মিয়া। একপর্যায়ে ওই সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও হয়। মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বেড়িয়ে আসে, জুলহাস কোন ভাবেই ওই সম্পত্তির মালিক নন। এছাড়াও জুলহাস নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেছিলেন, যা পুলিশী তদন্তে মিথ্যে বলেও প্রতীয়মান হয়।

তবে, আইনী লড়াইয়ে পিছিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র থামেনি জুলহাসের। তাই সম্পত্তির বায়নাকারী আনোয়ারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবর ও তার ভাতিজা হিমেলের প্রতি মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে জুলহাস। একই সাথে থানা পুলিশের নিরেপেক্ষ ভূমিকা থাকা সত্বেও তা নিয়ে অহেতুক সমালোচনায় মত্ত হন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার চতুর এই ব্যক্তি। অথচ, পুলিশ প্রতিবেদন বলছে, জুলহাস মুক্তিযোদ্ধা নন। এই সংক্রান্ত কোন প্রমানাদিও নেই তার কাছে। উপরন্ত এলাকায় উদ্ভট প্রকৃতির লোক হিসেবেই পরিচিত তিনি।

এদিকে, প্রতারক মামা জুলহাসের এমন মিথ্যে দাবীর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাগনী আফসুন বিবি। তিনি ফুলবানু বেগমের কন্যা।

গণমাধ্যমকে আফসুন বিবি বলেন- “ওই সম্পত্তি আমার মা ফুলবানু বেগমের ছিলো। তিনি তা জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা গংয়ের কাছে রেজিস্ট্রি দলিল মূলে বিক্রি করেন। কিন্তু জমি বিক্রির টাকা আমার মামা জুলহাস আমার মায়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। এরপরও আমার মায়ের ওই বিক্রিত সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের পায়তারা করছে। জুলহাস মিয়া স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবর সাহেব, হিমেল সাহেব ও বায়নাকারী আনোয়ার গংয়ের নামে যেসব অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। এই জমি জুলহাসের নয়।”

এদিকে, কথোপকথোন সময় ওই সম্পত্তির যাবতীয় বৈধ কাগজ উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রি বায়নাকারী আনোয়ার হোসেন গং। একই সাথে অভিযুক্ত জুলহাস মিয়ার বানোয়াট ও জাল মিউটিশনও উপস্থাপন করেন তিনি। আনোয়ার বলেন, আমি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি বায়না করেও জুলহাসের দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। জুলহাস আমাকেসহ অন্যান্যদের নানা ধরনের ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যাচার করছে। আমরা থানা পুলিশের কাছ থেকে আইনী সহায়তা পেলেও জুলহাস আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..