নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস হত্যা মামলার আলোচিত আসামি মাসুদ প্রধান, তুষার ও তুর্জয়। এই হত্যাকান্ডের পর ধারালো ছুরি হাতে তুষার আরেক আসামী তুর্জয়ের হাতে খনতি, চাপাতি ও লোহার পাইপসহ কিশোর গ্যাংয়ের ছবি গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসে। তুষার ও তুর্জয় আদমপুর জিওধরা এলাকার মৃত জামান মিয়ার ছেলে।
তবে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার খুনি মাসুদ প্রধানের অপকর্মের সহযোগী তুষার ও তুর্জয় গ্যাংদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, খনতি ছুরি ও লোহার পাইপ নিয়ে তোলা সেলফি বেশ কিছুদিন আগে খুনি তুষার তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ওই ছবিগুলো আপলোড দেয়া হয়। তাদের কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ, মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও খুনিদের সাথে স্থানীয় কলাগাছিয়া ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি রয়েছে।
এদিকে, সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার খুনি মাসুদ প্রধান বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আদমপুর চৌরাস্তা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সেল্টার দিতেন। এবং এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকেন এই মাসুদ প্রধান। খুনি মাসুদ প্রধানকে বন্দর থানা যুবলীগ নেতা হিসেবেই এক নামেই চিনেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে মাসুদ প্রধান নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের সাথেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। যার অসংখ্য মিটিং মিছিলের ছবি রয়েছে দুলাল প্রধানের সাথে মাসুদ প্রধানের। সেই সুবাধে মাসুদ প্রধান আদমপুর চৌরাস্তা এলাকাসহ আশেপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সাথে বন্দর থানা পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা মাসুদ প্রধানের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো।
জানা যায়, বন্দরে ডিস লাইন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খাঁন মাসুদের বাড়িতে হামলা চালায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান বাহিনী। সেদিন এ হামলায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার খুনি মাসুদ প্রধান। অথচ হামলার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেনি বন্দর থানা পুলিশ। তবে জনমনে এখনও আতংক বিরাজ করছে, সেদিন যদি প্রশাসন অস্ত্র উদ্ধারে নামতো তাহলে আজকে হয়তো সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা হতো না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এখন একটাই প্রশ্ন বন্দর জুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার দায়ভার কে নিবে?।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...