নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে ব্যবসায়ীর নিকট ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবীতে নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে গত রবিবার (২৬ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত করে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী মোঃ শাহাবুদ্দিন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় আমার গোদনাইল মৌজার বউবাজার ক্যানাল পাড় সংলগ্ন নিম্ন তফসিল বর্ণিত আমার নিজস্ব ক্রয়কৃত ভূমি রয়েছে, যা গত ১৬ জুন আনুমানিক দুপুর ২টা ৪০মিনিটের সময় উক্ত ভূমিতে আমি বাড়ী তৈরীর জন্য কাজ করতে গেলে বিবাদী ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মৃত রশিদ মিয়া ছেলে মোঃ স্বপন, গোদনাইল বউ বাজার এলাকার মৃত আলী আকবর এর ছেলে কাজী অহিদ, মৃত আজিজুল মাষ্টার এর ছেলে লুঙ্গি মাহবুব, রিপন ওরফে নোয়াখাইল্লা রিপনসহ আরো ১০/১৫ জন আমার “বিসমিল্লাহ্ টুইষ্টিন মিলস” নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বে-আইনিভাবে প্রবেশ করেন এবং আমার জায়গার কাজে বাধা প্রদান করে। ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহুল আমিন মোল্লাসহ তারা আমার ২য় তলায় অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে আমি যদি এখানে আমার বাড়ীর নিমার্ণ কাজ করি তাহলে তাদের ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তা নাহলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। সে আরো বলে যে আমি আমার জমিতে কোন ধরনের নিমার্ণ কাজ করিলে বিবাদীগণরা আমার “বিসমিল্লাহ টুইষ্টিন মিলস” আগুন লাগিয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, সেদিনের সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত বে-আইনিভাবে “বিসমিল্লাহ টুইষ্টিন মিলস” কারখানায় প্রবেশ করার ভিডিও ফুটেজ আমাদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। এমতাবস্থায় আমি আমার জমি জমা মিল কারখানাসহ নিজের জানের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।
আরোও উল্লেখ্য যে, গত ১৮ জুন তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি, যার নং- ৮৯০। বিবাদীগণরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে উক্ত থানা থেকে কোন প্রকার আইনগত পদক্ষেপ বা তদন্ত করতে আসেনি বিধায় আপনার শরণাপন্ন হলাম।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...