দেশের শীর্ষ এক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আজ বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সংবাদ প্রকাশ করেছে, “সীতাকুন্ডের ওসির ‘চাঁদাবাজি’ ১৯৬ কারখানায়, মাসে ওঠে দেড় কোটি টাকা” এমন সংবাদে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টরদের নাম ব্যবহার করে এবার কনস্টেবল (ড্রাইভার) আকাশ সহ ক্যাশিয়ারদের টনক নড়ে নাই ।
এই আকাশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও শহরে ব্যাপক চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে ড্রাইভার আকাশ সিদ্ধিরগঞ্জের তেলচোর শেখ মাসুম, শাহজালাল, রাজিব, মিনার, লিটন, শরীফ, সাইফুল, চেয়ারম্যান ফারুক, সামাদ, ফতুল্লার পাভেল, সালাম, ইব্রাহিম, সঞ্জিদের সাথে নানা পন্থায় যোগাযোগ করে ওসি স্যারের সাথে এসে কথা বলতে এক ধরনের কৌশলী হুমকি দিয়ে মাসোয়ারা আদায় করছে ।
ড্রাইভার আকাশের এমন কৌশলী হুমকি ও মাসোয়ারা আদায়ের কয়েকটি অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায় এই কন্সষ্টেবল (ড্রাইভার) আকাশ অত্যন্ত দূরদর্শিতার সাথে এবার ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এমন ক্যাশিয়ারদের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, “ভাই আজকে (পত্রিকার নাম উল্লেখ করে) পত্রিকার বিশাল একটা নিউজ হইছে। এইটা কি মিথ্যা? এরপরেও টনক নড়ে না কারো। নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা লাখ লাখ টাকা দিয়ে বদলী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আসে কি আংগুল চুষতে। ডিবি পুলিশের নামে এমন ক্যাশিয়ার আকাশ কতজন তার খোঁজ নেন। আমার নাম উল্লেখ কইরেন না প্লিজ। আপনারা সবই জানেন। কিন্তু কেন যে সাংবাদিক ভাইয়েরা চুপ থাকে আমি বুঝি না। এমন আকাশদের চাঁদাবাজিতে নারায়ণগঞ্জের বাতাস ভারি হয়ে গেছে। এরপরও দেখবেন আকাশদের চাঁদাবাজি চলছেই ।”
আকাশ সহ যারা আকাশকে দিয়ে চাঁদাবাজি করাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সচেতন মহল পুলিশ সুপারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...