মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে এলো অনারের মিডরেঞ্জ ফ্ল্যাগশিপ এক্স৯বি অটোরিকশার ধাক্কায় ৩ বছরের শিশু নিহত সাংবাদিক শাওনের বাবার মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক গাছের ডালে ঝুলছিলো নারীর লাশ আদালতে জাকির খানের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বন্দরে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১১ জনের প্রার্থীতা বৈধ সর্বজনীন পেনশন সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন ডিসি সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে করোনা যোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন ফতুল্লায় ভবন থেকে পড়ে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু এসিল্যান্ডের গাড়ির চালক রনির যত ক্ষমতা! পরিবারের সাথে সময় কাটাতে নিউজিল্যান্ডে মেয়র আইভী আড়াইহাজারে চায়না ব্যাটারি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড স্নানোৎসবে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু লাখো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে লাঙ্গলবন্দে স্নানোৎসব বন্দরে ৩য় জানাজা শেষে কাজিম উদ্দিন প্রধানের দাফন সম্পন্ন

মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

নারায়ণগঞ্জের কাগজ
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০
  • ৭৮৬ বার পঠিত
মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

রণজিৎ মোদক : বিশ্বজুড়ে আতংকের নাম হচ্ছে করোনা ভাইরাস। করোনা আক্রান্ত কোন রোগীকে তার আপনজন সেবা দেওয়াতো দূরের কথা, স্পর্শ পর্যন্ত করতে নারাজ। মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস জেনেও নিজেদের জীবন বাঁজি রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন করোনা বীরযোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী-সদস্যবৃন্দ। বিগত দূর্যোগ বছরগুলোতে এমন মহাদূর্যোগ আর আসেনি। এমন মৃত্যুও কেউ দেখেনি। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। স্বাস্থ্যবিধি না মানাই এর একমাত্র কারণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন অপরকে বাঁচাতে সাহায্য করুন।

বিগত পাঁচ মাসে দুই শতাধিক দেশে তিন লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশংকা আফ্রিকায় ২৫ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বলে ধারণা করছে। বিভিন্ন দেশের আমাদের বাংলাদেশ সরকার প্রধান ভয়াবহ করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ১৭/১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় জাতীয় উৎসবাদি বন্ধ ঘোষণা করে সীমিত আকারে তা নিয়মের মধ্যে পালন করার অনুমতি দিয়েছেন। লকডাউন ঘোষণা করায় গার্মেন্টস সেক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও অফিস-আদালতের লাখ লাখ মানুষ বেকারত্বে জীবনযাপন করছেন। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির স্বীকার হয়েছে।

শুধু তাই নয় শিল্প-কারখানার ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে বাড়তি অর্থ ঋণ দিচ্ছেন। অপরদিকে ৬৮ হাজার গ্রামবাংলায় নিম্নবৃত্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ (উপহার) চাল, ডাল, লবন ও আটাসহ শিশুখাদ্য বিতরণ করেছেন। ইটখোলার শ্রমিক, ঠেলাগাড়ি, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজি চালকদের কথা বিবেচনা করে তাদের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে অনেকের মতে নিম্নবৃত্তদের চেয়ে নিম্ন মধ্যবৃত্তদের অবস্থা বড়ই করুণ। তারা না পাচ্ছে ত্রাণ, না পাচ্ছে কর্মসংস্থানে যোগদান করতে। মুখে লাজ পেটে ক্ষুধা নিয়ে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

ইতিমধ্যে সরকার সবকিছু বিবেচনা করেই লকডাউন শিথিল করে বেশকিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্টম সমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার অনুমতি প্রদান করেছেন। রাজধানী ঢাকার গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকার বেশকিছু গার্মেন্টস চালু করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের গতি রাজধানী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মুখী। অনেকের ধারণা ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটি পেয়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন জেলায় স্ব স্ব নিজ গ্রামে গিয়ে দেশময় করোনা বিস্তার ঘটিয়েছে। আবার তারা শহরমুখী হয়ে করোনা আতংক বৃদ্ধি করছে। শহরের ফুটপাত ও বেশকিছু মার্কেট খুলে দিয়েছে। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছে না। হাসপাতাল সমূহে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেকেই তাদের শিশুদের নিয়ে বিপনী-বিতান সমূহে যাচ্ছে। সরকার পক্ষ থেকে নিষেধ করা সত্বেও কেউ নিষেধাজ্ঞা মানছে না।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, অনেকেই এখন শহরের সরকারি হাসপাতাল সমূহে চিকিৎসা গ্রহণ না করে শহরতলীতে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র বা ফার্মেসী সমূহে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডাক্তার-নার্সদের মধ্যে করোনার ভয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) স্বল্পতা রয়েছে এসব হাসপাতাল ও ফার্মেসীগুলোতে।

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৫৫ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাছাড়া দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবে কখন আমরা ভয়াবহ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হবো তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। আজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭শত মানুষের মৃত্যু গুণতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন।

লেখক-
রণজিৎ মোদক
শিক্ষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..