বক্তাবলী ইউনিয়নের স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে একাধিক হত্যা মামলার আসামী আকিল উদ্দিন মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বসানোর বিতর্কিত উদ্যোগ ঘিরে। অভিযোগ উঠেছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলীর নির্দেশনা বা ‘প্রেসক্রিপশনে’ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন বিএনপি নেতা মিলন মেহেদী।
শনিবার (১১ মে) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বক্তাবলীর ২নং ওয়ার্ডের মধ্যনগরে মিলন মেহেদীর নিজ বাসভবনে এই উদ্দেশ্যে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আকিল উদ্দিন মেম্বারকে জোরপূর্বক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক স্থানীয় সূত্র।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা কামাল হোসেন, সালাউদ্দিন মাল, নিজাম মাল, আবুল কালাম মাল, ইকবাল মেহেদী, জামান মাল, ইদ্রিস আলী, বাছেত, আনিছ মাল, সালাউদ্দিন বাদল, ছাত্রদল নেতা তানভীর এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ফজল হক মেম্বার, আয়নাল হক, শরীফ হোসেন ও সোহেল মিজি।
বিশ্বস্ত সূত্র মতে, মিলন মেহেদী বৈঠকে বলেন, “আকিল উদ্দিন আমাদের মালবাড়ির ভাগিনা। তাকে চেয়ারম্যান বানাতে হবে যেকোনো মূল্যে। এটা আমাদের ওয়ার্ডের সম্মান-অপমানের প্রশ্ন।”
উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলেন, “আমরা মিলন মেহেদীর চেয়ারম্যানী রক্ষা করতে পারিনি, কিন্তু আকিলের চেয়ারম্যানী যেভাবেই হোক আদায় করে আনবো।”
এর আগে, একই দিন সকালে মধ্যনগরের একটি মসজিদে মাইকিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য স্থানীয়দের আহ্বান জানানো হয়। এর মাধ্যমে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে আরও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এদিকে, ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এমন উদ্যোগকে দুঃখজনক ও বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, একজন হত্যা মামলার আসামীকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর অপচেষ্টা জনগণের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...