নারায়ণগঞ্জের কাগজ : অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে আটক সেলিম প্রধান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমের আপন খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। সেলিম প্রধান একই সঙ্গে জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান। আনোয়ার সাদাত সায়েম ঐ গ্রুপে চাকুরী করে বলে জানা গেছে।
রূপগঞ্জে সরেজমিনে গিয়ে সেলিম প্রধান সর্ম্পকে জানতে গেলে বেড়িয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের আস্থাভাজন সায়েম তার খালাতো ভাইয়ের সাথে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত হয়ে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যায়। সেলিম প্রধান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে তার নিকট আত্মীয়দেরকে তার অবৈধ ব্যবসায় সম্পৃক্ত করে তোলেন। সায়েমের আপন ছোটভাই আল আমিন কয়েক মামলার আসামী হয়ে বর্তমানে প্রবাসে দিনযাপন করলেও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মৌজায় রয়েছে তার কয়েকশত একর জমি। সেই জমির দেখভাল করেন বড়ভাই সায়েম। সেলিম প্রধানের অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত হয়ে এবং বিএনপির সহযোগি সংগঠন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির পদ পেয়ে পদ বানিজ্য করে যে পরিমান টাকা সংগ্রহ করেছেন তা সবটুকু নাকি ক্যাসিনো ব্যবসায় লাগিয়েছেন এ সায়েম।
নাম প্রকাশে অনেক অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দল করা শুধু সায়েমের নামের একটা অংশ মূলত বিভিন্ন নিরীহ মানুষের জমি-জমা দখলই হলো সায়েমের মুল কাজ। কারও জমি দখলে বাধার সম্মুখীন হলে সায়েম তার খালাতো ভাই সেলিম প্রধানকে ব্যবহার করতেন। সেলিম প্রধানের অনুরোধে সায়েমের পক্ষালম্বন করে ঢাকার অনেক আওয়ামী লীগের নেতাও সায়েমকে সহযোগিতা করতেন বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের দাবী সায়েমকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলে অনলাইন ক্যাসিনোর কর্ণধার সেলিম প্রধানের প্রচুর অর্থ কোথায় কার কাছে গচ্ছিত রয়েছে তা জানতে পারবে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৯১৫৭০৭###) একাধিবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...