একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন মহসীন বেপারী জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে সিদ্ধিরগঞ্জে কৃষকদলের দোয়া মাহফিল পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন শাহিন আহমেদ নিলয় পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন রশিদ চেয়ারম্যান পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন আক্তার হোসেন পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন ফেরদৌস পারভেজ ডেনী পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন মিজানুর রহমান মিজান পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন রাশেদ বাবু আজমেরী ওসমানের ক্যাশিয়ার সন্ত্রাসী রাজুকে গ্রেপ্তারে বাধা কোথায় এতিমদের দোকান দখলের অভিযোগে আ’লীগ ক্যাডারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন মশিউর রহমান রনির উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ সিদ্ধিরগঞ্জে বৃদ্ধ নারী আটক, ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে বৈরী আবহাওয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ

একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের কাগজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়নগঞ্জ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা এমন পর্যায়ে যাবো সেখানে একসময় দারিদ্র্য দেখাতে জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের বাচ্চাদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যতা ২২ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে এসেছেন। নয়ত আমরা ভুলে যাবো আমরা একসময় যে হত দরিদ্র ছিলাম।

তিনি বলেন, আদালতে ৩৫ শতাংশ মাদকের মামলা। আর বিএনপি নেতারা বলেন সব বিএনপির নেতাদের মামলা দিয়ে রেখেছে। কী মিথ্যাচার করছে তারা দেখুন। আমরা বিরোধীদল নিয়ে জেল ভরিনি। তারা যদি গাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেয় তাহলে পুলিশ এ্যাকশন নিবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র বা পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনতার মেন্ডেটে বিশ্বাস করে। ২০০১ সালে যেভাবেই হোক আমাদের পক্ষে ভোট পড়েনি আমরা ছেড়ে দিয়েছি। আজ দেখুন কী পরিমান অপপ্রচার হচ্ছে। আমরা দেখেছি ২০১৪-১৫ সালে তারা কীভাবে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তারা মানুষ পুড়িয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউট বানিয়েছেন।

সারা দেশের মানুষ ভোট দিতে উদগ্রীব। মানুষ আর অন্ধকারে যেতে চায় না। তারা শেখ হাসিনার বিকল্প আর কাউকে দেখে না। তাই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। জনগণ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র করছেন, করতে থাকুন। জনগণ আপনাদের জবাব দেবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু রাজারবাগে গিয়ে বলেছিল তোমরা ঔপনিবেশিক পুলিশ নও। তোমাদের জনগণের পুলিশ হতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে পুলিশের চেহারা পাল্টে গেছে। যেখানে যা দরকার সেটাই দেয়া হচ্ছে। জনগণের পুলিশ বলতে যা বোঝায় সেটাই আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি।

জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এর বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আমাকে আইডিয়া দিয়ে কাঠামো তৈরি করে দিয়ে আমাকে বলল এটা চালু করুন। আজ বিদেশে যেমন ৯৯৯ সেভাবে সার্ভিস দিচ্ছে আমরাও দিচ্ছি।

করোনার সময় আপনারা দেখেছেন। সেসময় পুলিশ জীবন বাজি রেখে দাফন কাফন করেছে৷ পুলিশ আজ জনতার পুলিশ হয়েছে। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।

আমরা চেয়েছিলাম অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সেখানে মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমরা বাঙালি। সেই স্বপ্নই বঙ্গবন্ধু দেখতেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে জাপানের মত বাংলাদেশ এগিয়ে যেত৷ মাত্র সাড়ে তিন বছরে যখন তিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে দাঁড় করিয়েছিল। সেটা দেখেই বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়া হয়নি৷ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সময় তাকে কীভাবে যে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন, সে কারনেই আজ আমরা এমন একটা দেশের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।

হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি। শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেয়ার পর বারাক ওবামা বলেছিল তোমরা বাংলাদেশকে ফলো করো শেখ হাসিনাকে ফলো করো। মায়ানমার প্রায়ই রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে। যখন গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ঢুকতে দিব কী দিবো না। তখন তিনি মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে বললেন তাদের আসতে দাও।

সারা বিশ্ব আজ অবাক। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশ, ক্লাইমেট নিয়েও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। ইউনাইটেড নেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ ঘোষণা করেছে। তার কারনেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে টোটাল বদলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগে আমাদের পাসপোর্ট দেখলে বলত অমুক দেশের লোক আগে যাবে তমুক দেশের লোক আগে যাবে। আজ আমরা দেখছি পরিস্থিতি কী। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা বহু আগেই জাপানের মত দেশ হয়ে যেতাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২০৪০ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..