ছয়টি ঋতু পালা ক্রমে
আসে আমার গাঁয়,
শরৎ ঋতু আসলে আমার
মনটা ভরে যায়।
গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা আসে
রিমঝিম নুপুর বাজে,
বৃষ্টি নামে মাঠে ঘাটে
সকাল দুপুর সাঁঝে।
বর্ষায় চারিদিকে স্যাঁতস্যাঁতে
হয়ে থাকে যেনো কাঁদা,
বৃষ্টির দিনে হয় সকলের
বড় সঙ্গী ছাতা।
মেঘলা আকাশে জমে থাকে
দৃশ্যমান রঙটা কালো,
আঁধারে ডাকা সূর্য্য দেয় না
খুব বেশি আলো।
বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকে
মানুষের হাঁটু পানি,
ইট পাথর নিয়ে শুধু
করে ওরা টানাটানি।
বর্ষা রাণী ভারী খুশি
কদম কেয়া নিয়ে,
জুঁই কামিনী শাপলা ফোটে
কাঁশফুলে দোলা দিয়ে।
শুকনো পাতায় ঘর ছেড়ে
বাইরে করে ভিড়,
বৃষ্টিতে কাঁশফুল নুয়ে পড়ে
যেনো ঘাড় ভাঙ্গা শির।
চতুর্দিক মুখরিত আজ
গাই জীবনের জয়গান,
শরতের আগমনে সবাই
ফিরে পাই প্রাণ।
আজ বর্ষার নামছে জল
চারিদিক অশ্রুমুখী হয়ে,
খোকাখুকু চল ধরবো মাছ
আনন্দে নেচে গেয়ে।
এমন দিনে মনটা শুধু
প্রিয়ার কথা কয়,
কাঁশবনে সাদা বকটি নিরবে
একাকী বসে রয়।
সত্যিই পাল্টে গেছে বর্তমানের
সব ঋতুর রীতি,
এসব কিছু বর্তমানে নয়
আজ শুধুই স্মৃতি।
অঝোর ধারায় ঝরছে যখন
মেঘ থেকে বৃষ্টি,
প্রকৃতিতে দেখছি প্রভুর করা
আহা অপরূপ সৃষ্টি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...