বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখে দিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বন্দরবাসীকে সচেতন ও ঘরমুখি করতে ঝুঁকি নিয়েই দিন-রাত ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করেই তারা বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী ও খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান নিশ্চিতের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় আক্রান্তে সংখ্যা দাড়ালো ১ হাজার ৩২৮ এবং মারা গেছে ৫৬ জন। এর মধ্যে বন্দর উপজেলা ৫টি ইউনিয়সহ সিটি কপোরেশনের বন্দরে ৯টি ওয়ার্ডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ এবং মারা গেছে ৭ জন। আর এই ঝুকির মধ্যে থানার সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মাঠে কাজ করছেন ওসি রফিকুল ইসলাম।
ওসি রফিকুল ইসলাম বন্দর থানায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এই থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক, চোরা চালান, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছেন। অতীতে অন্যান্য অফিসারদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় এর নির্দেশে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার প্রতিটি এলাকার হাট-বাজারে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদেরকে করোনা প্রতিরোধে সতর্ক করার জন্য সবধরনের কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে গ্রামের অসহায় ও কর্মহীনদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কর্মহীন অসহায়দের মাঝে আমাদের সাধ্য মতো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি এবং সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। সেই সাথে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখে দিতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে জানার পরও পুলিশ সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। লকডাউন থাকাকালীন সময়ে বন্দর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...