পুর্বাচল কাঞ্চন ব্রীজের কাছে সারে ২৭ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহনের তিনকোটি পয়ষট্টি লক্ষ চুরানব্বই হাজার পাচঁশত অষ্টাশি টাকা এক পয়সার মধ্যে ঘুষ দেওয়ার নাম করে ৪৩ নং উত্তর চাষাঢ়ার বাসিন্দা (ময়না ভবন) আমির হোসেনের ছেলে সৈয়দআহম্মেদ ও রুপগঞ্জ কাঞ্চন রোডস এন্ড হাইওয়ের ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা ও টাকা আদায়ের জন্য পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বরাবরে গত ২৮ আগষ্ট অভিযোগ করেছে ৪৪ নং উত্তর চাষাঢ়ার বাসিন্দা সুবেদ আলির ছেলে জামান হোসেন জাকি।
পিবিআইয়ের অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাহানাজ বেগম, সাং- ৮৪/২ এইচ এম সেন রোড দক্ষিণ বন্দর কাঞ্চন ব্রীজের কাছে সাতাইশ শতাংশ জায়গার মালিক। শাহানাজ বেগম উক্ত জায়গা জামান হোসেন জাকি ও তার দুই পুত্র মোঃ আরিফ পাঠান ও মোঃ মাহাবুবুল আজিম পাঠানকে জায়গা বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দিলে জামান হোসেন বিনা টাকায় সাঈদকে র্পাটনার করে এবং বিশ্বাস করে ১নং গ্রহিতা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে দলিল নং ২৪৬৩/২৩ রেজিষ্ট্রি করে।
জামান হোসেন জাকি ৫ তলা থেকে পরে গিয়ে বড় ধরনের র্দূঘটনার শিকার হয়। তার দুটি পা ভেঙ্গে যায় পাশাপাশি মাথায় বড় ধরনের আঘাত পায়। তার কিছুদিনের মধ্যে জানতে পারে সরকার ঐ জায়গা অধিগ্রহন করবে। তখন বিশ্বাস করে জামান অফিসে যোগাযোগ করার জন্য সাঈদকে দায়িত্ব দেয়। সাঈদ বিভিন্ন জায়গায় খরচের কথা বলে প্রায় ৫ লক্ষ্য টাকা নেয় এবং প্রস্তাব দেয় রোডস এন্ড হাইওয়ে কাঞ্চনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক প্রতি শতাংশ দশ লক্ষ টাকার উপর করে দিবে তার বিনিময়ে তাকে বিশ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
সূচতুর সাঈদ অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর সে জামানদের পর্দার অন্তরালে রেখে একাই গোপনে সব কিছু করতে থাকে এবং অফিসিয়াল কাজের জন্য নগদ পাঁচলক্ষ টাকা নেয়। সর্বশেষ ৮নং নোটিশের তথ্য গোপন করে অধিগ্রহনের চেক পাওয়ার পূর্বে তিনজনকে ডেকে নিয়ে তড়িগড়ি করে এল শাখার ভলিউমে স্বাক্ষর নেয়। তখন জামান হোসেন জাকি ও পার্টনার দুইজন জানতে পারে তাদের নামে তিন কোটি টাকার চেক ইস্যু হয়েছে।
সাইদ তখন কৌশল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তিন পার্টনারকে বলে চেক নিতে হলে ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে এক কোটি চার লক্ষ আটাত্তর হাজার টাকা পূর্বের র্শত মোতাবেক দিতে হবে। সাঈদের চাপে তখন বাধ্য হয়ে তিনজন আইএফআইসি ব্যাংক বন্দর শাখা হিসাব নং- ০২৩০১৭৭৭৯৮৮১১ চেকের মাধ্যমে এক কোটি পয়ষট্টি লক্ষ সাত হাজার টাকা যৌথ হিসাব থেকে নেয় এবং বলে ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে এক কোটি চার লক্ষ আটাত্তর হাজার দিবে বলে তিনজনের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে নিয়ে যায়।
বর্তমান জেলা প্রশাসক নির্লোভ ও কাজ পাগল মানুষ হিসেবে জেলাবাসীর কাছে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তার সুনাম নষ্ট করার জন্য সাঈদ ও সিদ্দিক যে কাজ করেছে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ, বিনা টাকার পার্টনার হয়ে সাঈদ জামানদের সাথে যে প্রতারণা করেছে তার প্রতিকার ও অর্থ উদ্ধারের জন্য সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সার্বিক ঘটনা সমাধানের লক্ষে পিবিআইয়ের দারস্থ হয়েছে জামান হোসেন জাকি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...