দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় এলাকায় আওয়ামী লীগের ৪ ও জাতীয় পার্টি থেকে ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার ৭ জানুয়ারি রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বেসরকারকারিভাবে তাঁদের নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে বর্তমান ৪ সংসদ সদস্য ও নতুন করে একজন নির্বাচিত হন। নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচিত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের শাহজাহান ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। আসনটিতে সোনালী আঁশ প্রতীকের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার মাত্র ৩হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন পেয়েছেন ৭হাজার ২৫৬ ভোট। যদিও দুপুর ১১ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনে সাবেক এমপি ও নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট পেয়েছেন। পরপর ১০ বছর এই আসনে এমপি ছিলেন খোকা। তাঁর পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে সোনারগাঁয়ে খোকা যুগের অবসান হল।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নৌক প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাপ ফুল প্রতীকের জাকের পার্টির প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান ১ লাখ ৫২ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের ইসলামির ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী একরামুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৬ ভোট।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...