করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে অবস্থান করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান না খোলাসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা সহ অপ্রয়োজনে রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লায় মনগড়া মত চলাফেরা করছে সাধারন মানুষ। ফতুল্লায় প্রশাসনের ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতার প্রচার-প্রচারণা চালানো হলেও নির্দেশনা মানছেন না সাধারন মানুষ।
সোমবার (৩০ মার্চ) সারাদিন সরেজমিনে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনে আড্ডা, ঘুরাফেরাসহ রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লায় জনসমাগম এবং যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে ফতুল্লার রেলস্টেশন বাজার, বটতলা রেললাইন, লামাপাড়া, লালপুর, পৌষার পুকুরপাড়, দক্ষিণ শিয়াচর, লালখা, বায়তুল ফালাহ রোড, তক্কার মাঠ, সস্তাপুর, রামারবাগ, পাগলা, রসুলপুর, কুতুবপুর, পঞ্চবটি, ভোলাইল, নন্দলালপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় এ জনসমাগমের চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থেকে বের না হওয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হলেও নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লায় মনগড়া মত চলাফেরা করছে সাধারন মানুষ। এসকল রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লায় মাছ মাংস থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়াও চায়ের দোকান, কাপড়ের দোকান, হার্ডওয়্যার ও কসমেটিকসের দোকান খুলে চলছে বেচাকেনা। প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জনসমাগম সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মোল্লা ও মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় নির্দেশনা অমান্য করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের অবাধ চলাচলে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিদের্শনা অমান্য করে রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লায় মনগড়া মত চলাফেরায় ভাইরাস ছড়ানোর আতুড় ঘর হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠছেন।
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই অবস্থা চলতে থাকলে করোনার সংক্রমন রোধে ঘরে থাকার যে আহবান জানানো হয়েছে তা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে ফতুল্লায়। সংক্রমন প্রতিরোধে মানুষের অবাধ চলাচল রোধে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি সহ ফতুল্লার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও রাস্তাঘাটে সেনাবাহিনীর টহল দেয়া জরুরী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...