কাজী আনিসুল হক : এবারে অমর একুশে গ্রন্থ মেলা ২০২০-এ প্রকাশিত হয়েছে ছড়াকার, লেখক বদরুল আলমের লেখা সায়েন্স ফিকশন ‘এক্স ওয়ার্ল্ড’। তেইশ পর্বে লেখক বদরুল আলম রয়েল ও সুজনার একটি ভিন্নধর্মী প্রেমের দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে। বিজ্ঞান ভিত্তিক কল্পকাহিনীর ‘এক্স ওয়ার্ল্ড’ আবিস্কার করেছে সমুদ্রের বিশ কিলোমিটার গভীরে লুকিয়া থাকা তিনস্তর বিশিষ্ট্য এক আধুনিক জণপথ। কতটা শক্তিশালি হলে একজন লেখক কল্পনা জগৎকে পুঁজি করে প্রবেশ করতে পারে আগামীর পৃথীবিতে তার-ই সাক্ষ্য বহন করে সায়েন্স ফিকশন ‘এক্স ওয়ার্ল্ড’।
২২৫০ সালে লেখক বদরুল আলমের চোখে দেখা নব আর্শ্চয্য পাঠক হৃদয়ে এক নতুন স্পন্দন সৃষ্টি করবে। ৯৫ পৃষ্টার এই গল্পের শুরুতে একদল যুবক-যুবতী সমুদ্র পথে সারা পৃথিবী ভ্রমনের স্বপ্ন নিয়ে নোনা জলে যাত্র শুরু করে। গল্পের মধ্যে লেখক বদরুল আলম জ্ঞান-বিজ্ঞানের বেশ কিছু তথ্য আমাদের জন্য উপস্থাপন করেন। যা প্রতিটি পাঠকের কাছে এ গল্পের গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলেছে।
আমাদের দেশে এধরনের গল্প খুব একটা দেখা যায় না। এছাড়াও তুলনা মূলক ভাবে বিজ্ঞান লেখক এর সংখ্যা কম। যাইহোক, বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে অতি আধুনিক নগরী ‘এক্স ওয়ার্ল্ডে’ পৃথীবির সকল সুযোগ-সুবিধা থাকলেও পানির গর্ভে প্রকৃতিকে কৃত্রিম রূপে সাজানো হয়েছে এবং এখানে বসবাসকারি অধিবাসীরা বিজ্ঞানমনস্ক উভচর প্রাণী। যা গল্পটিকে করে তুলেছে অতভূৎ রহস্যময়। এছাড়াও এক্স ওয়ার্ল্ডের সিধান্ত গ্রহনের কৌশল আমাদের ২০২০ সালের পৃথিবীতে মানবজীবনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
কাজী জুবায়ের মাহমুদ এর প্রচ্ছদে অনির্বাণ থেকে প্রকাশিত বইটির পরিবেশক আহমদ পাবলিশিং হাউস। সাদা অফসেট কাগজের মুদ্রিত রঙিল খোলশে মুড়া বইটির মূল্য রাখা হয়েছে একশত পঁচাত্তর টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে শেখ রাসেলকে। বদরুল আলমের লেখা সায়েন্স ফিকশন ‘এক্স ওয়ার্ল্ড’ পাঠ আনন্দ ছড়িয়ে পরুক সর্বত্র। পাঠক হিসেবে দক্ষ লেখক বদরুল আলমের জন্য একরাশ ভালোবাসা এবং শুভ কামনা।
লেখক : কবি, সাংবাদিক ও সংগঠক।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...