নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, খানপুরের পিসিআর ল্যাবের জন্য ২০ হাজার রেড ও ১০ হাজার ইয়েলো কিট কেনার নির্দেশ দিয়ে ছিল সরকার। কেনাও হয়েছে, কিন্তু সব গুলো কিটই রেড। আর এ কারণেই বন্ধ হয়েছে খানপুরের ল্যাব। আমরা কাউকে ছাড় দিবো না, নিশ্চিত থাকুন। আমরা আগে রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, মুখের উপর বলেছি ‘তুই রাজাকার’। সামনে আবার যুদ্ধ, মানুষ এবার বলবে ‘তুই চোর’। সোমবার (২২ জুন) দুপুরে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, জেলা করোনার ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম, প্রো এ্যাকটিভ ও আল বারাকার প্রতিনিধিদের উপস্থিত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘যে আইসিইউ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো, সেটা আজ চলে এসেছে। যেভাবে সেলিম ওসমান খানপুর হাসপাতালের জন্য কাজ করেছে, মনে হয় না দেশের অন্য কোথাও, অন্য কোন সংসদ সদস্য এ কাজ করেছে। সেলিম ওসমান যে স্বপ্ন নিয়ে শ্রম দিচ্ছে, সেই শ্রমকে যদি কেউ বিনষ্ট করেছে! তাহলে আমি বলে রাখি, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি সেলিম ওসমান না। তাদের নারায়ণগঞ্জে থাকতে দিবো না।’
শামীম ওসমান আরো বলেন, যখন নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের কিট শেষ হয়ে যায়। তখন থেকেই আমি কিছু লোকের কাছে পেয়েছি। তাদের রাত ১০টা থেকে ১টা বাজেও ফোন দিলে রেসপন্স করেছে। তাদেরই মধ্যে রয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মহোদয়, একান্ত সচিব, এসএসএফ। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। না বললে আমার আত্মা তৃপ্তি পাবে না।
প্রসঙ্গত, কিট সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতাল ঘোষিত খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের ল্যাব। এ নিয়ে গত ৫ দিন যাবত মহা সংকটে পড়েছেন জেলা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। সংগৃহীত কয়েকশত নমুনা ও উপসর্গ রোগীদের চাপ সামলাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...