নারায়ণগঞ্জের কাগজ : জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সদর থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের মূল্যায়ন না করায় সেলিম ওসমানের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ২৪ ঘন্টা খেটে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট মেরেছি। অথচ নির্বাচনের ৫ দিন পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে আলোচনা সভা করে খাবারের জুলি তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীদের ডাকেন না, মূল্যায়ন করেন না। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে মসিনাবন্দ সমাজ উন্নয়ন সংসদ কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।

সদর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মজিবর রহমান শিকদারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ দুলাল, নাজির হোসেন ফকির, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দৌলত শিকদার, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাকিম, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি এসএম সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহম্মেদ খোকন, জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সদর থানা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সওদাগর খান, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা মিয়া, আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার আলী, মাসুদ রানা, মোতালেব শিকদার, মোসলেম উদ্দিন, মোঃ কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ওসমান গনি, আক্তার হোসেন শেখ, মজিবর রহমান, আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, আলী আকবর মাষ্টার, মোঃ বাচ্চু মেম্বার, এবায়দুল্লাহ, মজিবর রহমান, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহিদুর রহমান সাহিদ, মোঃ বিপলু,গোগনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম, আলীরটেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বিপ্লব, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।

বিকাল সাড়ে ৪টায় কর্মী সভা শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয়।

বক্তারা আরো বলেন, শামীম ওসমান এমপি শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিটি গঠন করতে হবে। বিএনপি জামায়াতের কোন লোক যেন কমিটিতে স্থান না পায় সর্তক হতে হবে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে আমরা কোন সভা সমাবেশ তো দুরের কথা ১৫ আগষ্টের শোক দিবস ও পালন করতে দেয়নি। অথচ আজকে তারাই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির নেতা সেজে আয় করছে। কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় গোগনগর ও আলীরটেকে আওয়ামী লীগের বেহাল দশা। নতুন কোন কর্মী সৃষ্টি না করতে পারায় নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বক্তব্য রাখেন অনেকে।