নারায়ণগঞ্জের কাগজ : বাংলাদেশের সব জায়গায় আওয়ামী লীগের শুদ্ধ অভিযান চলছে। যারা বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে এবং বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আপনারা দেখবেন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগে এসেছে। আওয়ামী লীগের লোক দিয়েই আওয়ামী লীগের দল চলবে অন্য কারোর দরকার নেই। কিন্তু কথা ও কাজের সাথে অনেকটাই ব্যতিক্রম করলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল। গতকাল ৫ নভেম্বর কাশিপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির অনেক নেতাকেই তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুল্যবান পদে আসীন করেছেন। আর এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ।
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন আহমেদ আলী। যিনি বিএনপির পরিচিত ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পুরো কাশিপুরে সর্বজন পরিচিত। এই আহমেদ আলী ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর উপর চালায় নির্যাতনের স্টিম রোলার এমনকি অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়।
৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোঃ হুমায়ূন কবীরকে যিনি দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার যুবদল ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ফরিদের আপন ভাই। হুমায়ূনের আরেকটি পরিচয় তিনি সাইফুল্লাহ বাদলের ভাই আমিরুল্লাহ রতনের মেয়ের উকিল বাবা।
এছাড়াও ২নং ওয়ার্ডে দ্বায়িত্ব পেয়েছেন আরেক বিএনপি নেতা বদু ওরফে ডিস বদু। যিনি বিএনপির আরেক ক্যাডার হাসানের অন্যতম সেনাপতি সালাউদ্দিনের ভাই।
একদিকে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানও যখন বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদেরকে দলে না নেয়ার আহবান জানচ্ছেন এবং ইতিপুর্বে যারা দলে প্রবেশ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বের করার প্রক্রিয়া চলছে ঠিক সেই মুহুর্তে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ বাদল বিএনপির নেতাদেরকে তার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে সেই বিএনপির নেতাদেরকে মুল্যবান পদে আসীন করছেন এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছক অনেক নেতাকর্মী বলেন, সদস্য ফরম বিতরন কালে মঞ্চে দাড়িয়ে আমরা যখন শুনতে পাই আহমেদ আলী, ডিস বদু ও হুমায়ূন কবীররা দলের ভাইটাল পদ পায় তখন আমরা প্রতিবাদ করলে বাদল ভাই আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তার অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেন কে প্রতিবাদ করেছে ওদেরকে আমার কাছে নিয়ে আয়।
তারা অনেকেই বলেন, গতকালে অনুষ্ঠানে ৭নং ওয়ার্ডের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না। তিনি কিভাবে নিজ ক্ষমতায় বিএনপির লোক দিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা দেন। বাদল ভাই এমন সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জের প্রান পুরুষ শামীম ওসমানের কর্মীদের সাথে তার সুসম্পর্ক ভাঙ্গার অপচেষ্টা করছেন। বাদল ভাই নিজে লাভবান হতে আওয়ামী লীগ ও শামীম ওসমানকে ক্ষতি করছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.সাইফুল্লাহ বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...