বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাধারণ মানুষ বাঁশের লাঠি নিয়ে বন্দুকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধারা জীবন দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কথায়, অন্য কোন নেতার কথায় নয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সোনারগাঁও জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জিএম কাদের আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতাদের নেতা, বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর জেল খেটেছেন। এমন নেতাকে ছোট করে দেখার কোন কারণ নেই। তিনি সকল দলের, সকল মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের নিজস্ব সম্পদ নন। বিএনপির রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানও জাতির জনকের ব্যাপারে দ্বিমতপোষণ করেননি। জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে মানুষের কল্যাণে, ন্যায় বিচার, সুশাসন কায়েম করার জন্য। আমরা আওয়ামী লীগ হয়ে যাইনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিব। জাতীয় পার্টি একটি পূর্নাঙ্গ দল। জাতীয় পার্টি কোন লেজুরবৃত্তিক দল নয়। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সংসদে বলেছিলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন বলেই আমি রাষ্ট্রপ্রতি হতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জনক।’

জিএম কাদের বলেন, আমি জাতীয় সংসদে ঘোষণা দিয়ে বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য। সে থেকে ঘোষণা করেছি জাতীয় শোক দিবস পালন করার। সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক লিপিবদ্ধ করার জন্য আমরা সমর্থন করেছিলাম।

নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু।

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুবসমাজের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহাজাদা, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সংসদে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন বঙ্গবন্ধু কোন দল বা কোন গোষ্ঠির নেতা নয়। ১৯৭১ সালে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম ও বলিষ্ট নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের সম্পদ।

সভাপতির বক্তব্যে এমপি খোকা বলেন, আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছি১৭৫৭ সালে সিরাদৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে, সে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। কিন্তু থানাকে উপজেলা রূপান্তর করেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের জন্য স্বাধীনতার ডাক দেননি। তিনি গোটা জাতির জন্য স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছেন। তিনি প্রতিটি দলের ও প্রতিটি জনগণের নেতা। আমি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি মানুষের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলী হোসেন আলী, সম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রউফ, সোনারগাঁও পৌরসভার সভাপতি এমএম জামান, জাতীয় পার্টির প্রচার সস্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাঈম ইকবাল, করোনা যুদ্ধা সানাউল্লাহ বেপারী প্রমুখ।