বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও দৈনিক যুগের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন শুভ’র দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শামসুল হুদা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …………রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় পাগলা থানাধীন শহিদনগর তাঁর নিজ বাড়ীতে মৃত্যু হয়। বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার সময় জানাজার পর মরহুমকে শহিদনগর তার নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শামসুল হুদা ১৯৭০ সালে সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম ভালুকা এবং গফরগাঁও দুইটি আসনে বিপুল ভোটে মেম্বার অফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলী (এমএনএ) নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৩৩ সালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার পাইথল ইউনিয়নের শহিদনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের ৮৫ বছর বয়সে তিনি ইসলামিক চিন্তাবিদ, আধ্যাত্মিক জ্ঞান তাপস্য ও মুর্শিদ কেবলা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ষাটের দশকে আনন্দ মোহন কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
ছিলেন মুজিব নগর সরকারের উপ-রাষ্ট্রপ্রতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রিয় ছাত্র। তাঁর হাত ধরেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ডাকে ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও এবং ভালুকা দুইটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে যান। সেই নির্বাচনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন একাধিকবার নির্বাচিত প্রার্থী মাওলানা সামছুল হুদা পাঁচবাগী। সেই নির্বাচনে তাকেও বিপুল ভোটে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুকে অবাক করে দিয়ে বিজয়ের গৌরব অর্জন করেছিলেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিজের আসনের বাইরেও তার প্রিয় শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্বাচনীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী নেজামে ইসলামের প্রধান মাওলানা আযাহারুল ইসলাম যখন আওয়ামী লীগকে ইসলাম বিরোধী প্রপাগান্ডায় জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল তখন তিনিই প্রতিপক্ষকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রতিহত করেছিলেন।
তাকে ন্যায় ও সততার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু তাকে ‘আমার মওলানা সাহেব’ বলে ডাকতেন। আজ সেই সৎ নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তির রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শামসুল হুদার স্বজনেরা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...