নারায়ণগঞ্জের কাগজ : পুলিশ নয় মিডিয়া পাগল এটিএম কামালেই যথেষ্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাদের মামলার হয়রানীতে ফেলতে। পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রেসক্লাব এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) যথা সময়ে কর্মসূচি স্থলে জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির অধ্যায় শেষ করে ফেরত চলে গেলেও, সেখানে আসতে অনেকটাই বিলম্ব করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
পরে নিজেকে মিডিয়াতে উপস্থাপন করার জন্য নিজের ছেলেকে দিয়ে মোবাইলে ভিডিও চালু করিয়ে সংগঠনটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহ রিয়ার চৌধুরী ইমনকে নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে উপস্থিত হন।
এ সময় পুলিশ তাকে দেখে বাধা প্রধান করলে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদেরকে দেখে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। সে সময় পুলিশ তাকে সম্মানের সহিত সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তখনও তার নাটকের অধ্যায়ের সমাপ্তি আসেনি। অপর প্রান্তে তার ছেলে মোবাইলে সেই নাটকের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে থাকেন।
একপর্যায় পুলিশ তাকে ঠেলে ঘটনাস্থল থেকে সড়াতে চেস্টা করেন। শুরু হয় তার নাটকের গভীরতার দৃশ্য। এ সময় স্থানীয় মিডিয়ার অধিকাংশ সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেন। সকল মিডিয়ার উপস্থিতি দেখে পরবর্তীতে কৌশলী রাজনীতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিরক্ত হয়ে তার সাথে থাকা শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনকে আটক করে। শুরু হয় তার নাটকের টানা-হেচরার আরেক অধ্যায়। পরে পুলিশ ইমনকে টেনে নিয়ে তাদের ভ্যানে তুলি নিয়ে যায়। এ সময় পশে থাকা মহিলা নেত্রী ডলি ধস্তাধস্তির কবলে পড়ে।
এদিকে, এটিএম কামালের আরেক নব্য শিষ্য আরিফ সব কিছু ভিডিও করতে থাকে। পরে পুলিশ তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা উপস্থিত কয়েক জন বলতে থাকে মিডিয়া পাগল এটিএম কামালে নাটকের বলি হলো শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। আর এ ঘটনায় যদি পুলিশ মামলা করে তাহলে এটি এম কামালের কারনে অসংখ্য বিএনপি নেতা সেই মামলার আসামী হবে। এই সকল মিডিয়া পাগল নাটক বাজ নেতাদের কারণেই বিএনপির আজ করুন অবস্থা।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...