জুলাই-আগষ্ট মাসে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক ছাত্র-জনতা উপর হামলাকারী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে জেলার বিভিন্ন থানায়। মামলার পরও অনেকটাই প্রকাশ্যে আগের রূপেই ঘুরাফেরা করছে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মোঃ নজরুল।

স্থানীয়রা জানান,ফতুল্লা থানাধীন ওয়াবদারপুল এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা নজরুলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ফয়সাল খানকে গুলি করার আহতের ঘটনায় দায়ের করা ১৫নং মামলার এজাহারনামীয় ৯নং আসামী। উক্ত মামলায় সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমান সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমানসহ ৮৭ জনকে আসামী করেন ফয়সাল খান।

স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন সাংসদ শামীম ওসমান ও তার ছেলে,ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ সঙ্গীয়রা নির্বিচারে গুলিবর্ষন করে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটায়। সেই সময়ে থানা যুবলীগ নেতা নজরুলও তাদের সাথে থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন।

তাদের দাবী, গডফাদার শামীম ওসমানের পাশে থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ফতুল্লা ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন মানুষকে হয়রানীসহ নাজেহাল করা যুবলীগ নেতা নজরুল এখনও বহাল তবিয়তে থেকে পুর্বের ন্যায় এখনও পর্যন্ত মানুষকে ভীতি প্রদান করছে। এই নজরুলের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে কয়েকটি থানায়

আমরা চাই আওয়ামী দুঃশাসনামলে নজরুলদের মত প্রেতাত্মাগুলো অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক এবং জুলাই-আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষনে সেই অবৈধ অস্ত্রগুলো দ্রুত উদ্ধার করা হোক।