নারায়ণগঞ্জের কাগজ : নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সাংসদ শামীম ওসমানে সাহস ও ভয় কাজ করাতে এবার ফতুল্লা থানা কমিটিতে কোন পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগার লক্ষন দেখা দিচ্ছেনা। বয়সের ভারে ন্যুজ প্রবীন তাদের নেতৃত্বেই আবারও আসছে কমিটি যার ফলে তৃমুল থেকে নবীনদের উঠে এসে নেতৃত্ব দেয়ার আশা গুড়েবালি।
আর মাত্র ২/৩দিন পর অথ্যাৎ শনিবার নতুন ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন নম পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওফেল আহমেদ। যদিও অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিলো ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে। থানা কমিটি কাউন্সিলে মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক। প্রায় মাস খানেক যাবত ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়েছেন একটি সফল কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য দলের নেতাকর্মীরা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন প্রার্থী আসবে এমনটাই প্রত্যাশায় ছিলো তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
আবার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অনেক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন গনমাধ্যমে নিজেদের ছবি সম্বলিত নিউজও প্রচার করিয়েছেন। কিন্তু মাঝ পথে বাধ সাজে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান। যার সামনে গিয়ে নিজেকে প্রার্থী পরিচয় দেবে। কারণ শামীম ওসমানের সামনে অনেক নেতাকর্মী নিজেদের আবেগঘন কথা শেয়ার করতে পারেনা মুষ্টিমেয় কিছু নেতা ছাড়া। রাজপথের মিছিলে-মিটিংয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে ব্যাপক সাহস দেখাতে পারলেও তার সামনে গিয়ে ভয়ে কাতুকুতু হয়ে পড়েন।
শনিবারের কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার নম পার্কে সাধারন নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি অলিখিত মিটিং হয়। সেখানে শামীম ওসমানের সামনে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা করার জন্য কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি যারা কয়েকদিন যাবত মিডিয়াতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নিজেদের গুনগান গেয়ে সংবাদ প্রকাশ করান। যে কারণে আগামী শনিবারের কাউন্সিলে বাদল-শওকত জুটি আবারো একই পদে বহাল থাকছেন। শুধুমাত্র অন্যান্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের সাহসের অভাবে এবং শামীম ওসমানে ভয় থাকার কারণে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক তৃণমূল নেতা বলেন, এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। কারণ আমরা নবীন হয়ে মুরুব্বীদের সামনে গিয়ে পদের প্রত্যাশা করলে সেটা আমাদের জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দাড়াতে পারে। কারণ রাজনীতিতে যেমন সম্মান রয়েছে তেমনি প্রতিহিংসাও রয়েছে। তাই সিনিয়রদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে রাজনীতির মাঠে বেশীদিন টিকে থাকাটা কষ্টদায়ক হয়ে দাড়ায়।
তবে তারা আরও বলেন, এমপি শামীম ওসমানের একান্ত ইচ্ছায় পুরোনোদের দিয়েই নতুন কমিটি করা হচ্ছে যেখানে আমাদের মত তৃণমূলের মুল্য নেই বললেই চলে। যার ফলে নেতাকর্মীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছে। যারা সভাপতি-সম্পাদক হচ্ছেন তারাতো দীর্ঘদিন উক্ত পদে ছিলেন। তাদেরতো উচিত তাদের স্থানে আমাদের মত নবীনদের জায়গা তৈরী করে দেয়ার। ভবিষ্যতে যদি এর ধারা অব্যাহত রাখেন তাহলে হয়তোবা নতুন প্রজন্ম থেকে উঠে আসা নেতারা রাজনীতিতে বিমুখ হয়ে যেতে পারেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...